স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অনাপত্তিপত্র না দেওয়ায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) পুরো মৌসুমে খেলা হচ্ছে না মোস্তাফিজুর রহমানের। আসন্ন জিম্বাবুয়ের সিরিজের জন্য দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে কাটার মাস্টারকে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে খর্বশক্তির জিম্বাবুয়ে নাকি আইপিএল ভালো– এ নিয়ে নেট দুনিয়ায় চলছে বিতর্ক।
তবে আইপিএলের পুরো মৌসুমে খেলতে না পারায়, আর্থিকভাবে বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন টাইগার এ পেসার। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অর্ধেক আইপিএল খেলে কত টাকা পাবেন মোস্তাফিজ।
আইপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন সাকিব আল হাসান। দুবাইয়ে হওয়া মিনি নিলামে দল পাননি লিটন দাসসহ বেশ কয়েকজন। তবে ভিত্তি মূল্য দুই কোটি রুপিতে তাকে দলে ভেড়ায় চেন্নাই সুপার কিংস।
চলমান ১৭ তম আসরে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি তিনি। আর চেন্নাইয়ের জার্সিতে রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। ৫ ম্যাচে শিকার করেছেন ১০ উইকেট। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় কাটার মাস্টার রয়েছেন ৩ নম্বরে।
এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরও বাঁহাতি এ টাইগার পেসারকে ফিরতে হচ্ছে দেশে। আগামী ১ মে পর্যন্ত তাকে আইপিএলে খেলার অনুমতি দিয়েছে বিসিবি। তাকে দ্রুত ফেরানোর উদ্দেশ্যে হচ্ছে ঘরের মাঠে আসন্ন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
কিন্তু অনাপত্তিপত্র না পাওয়ায় পুরো মৌসুমে খেলা হচ্ছে না তার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নিলামের পুরো টাকা পাবেন না টাইগার পেসার। ২ মে দেশে ফেরায় আর্থিকভাবে বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন মোস্তাফিজ।
আইপিএলের পারিশ্রমিকের নিয়ম, গ্রুপ পর্বের ১৪টি ম্যাচ খেলার মতো অবস্থায় থাকলে, পুরো টাকাটাই পেতেন তিনি। আর ম্যাচ কম খেললে আনুপাতিক হারে পাবেন পারিশ্রমিক।
সেই হারে প্রতি ম্যাচে তিনি পারিশ্রমিক পাচ্ছেন ১৮ লাখ ৭২ হাজার টাকার কিছু বেশি। একই সঙ্গে দৈনিক ভাতা, ব্যক্তিগত ম্যাচসেরার পুরস্কার, উইনিং বোনাসসহ আইপিএলে আরও অর্থ আয়ের উৎস রয়েছে।
১ মে পর্যন্ত বিসিবির কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র পেয়েছেন টাইগার পেসার। ফলে গ্রুপপর্বের শেষ চার ম্যাচ খেলতে পারবেন না তিনি। এতে ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রুপি থেকে প্রায় ৭২ লাখ রুপি পাবেন না মোস্তাফিজ।
অর্থ্যাৎ এবারের আইপিএল থেকে এক কোটি ২৮ লাখের কিছু বেশি আয় হবে কাটার মাস্টারের। আর এ সময়টায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের ৫ ম্যাচ খেললে তার আয় হবে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যা, আইপিএলের এক ম্যাচের চেয়ে অনেক কম।