স্পোর্টস ডেস্ক : জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের আগে ১৭ জনের একটা প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। যেখানে পরে যুক্ত হবে আরো দু'জন, সাকিব এবং মোস্তাফিজ। এই ১৯ জন থেকেই বাছাই করা হবে বিশ্বকাপ স্কোয়াড।
বিশ্ব আসরের আগে এমন পরিকল্পনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন বিসিবি পরিচালক এবং সাবেক টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। মিরাজের জন্য আক্ষেপ থাকলেও, এই ১৯ জনকেই এই মুহূর্তের সেরা পছন্দ বলেও মানছেন তিনি।
গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নির্বাচক কমিটি স্কোয়াড ঘোষণার পরপরই যেন ব্যস্ততা বেড়ে গেছে বিসিবিতে। ডিপিএলের দলগুলোর অনুশীলনের মাঝেই তাই চলছে জাতীয় দলের প্রস্তুতিও। তাই তো আবাহনীর অনুশীলনে যোগ না দিয়ে জাতীয় দলের কোচদের সঙ্গে নেট সেশন করেছেন লিটন কুমার দাস।
ইনডোরের নেটে লিটনকে ফর্মে ফেরাতে চলে তিন কোচের আপ্রাণ চেষ্টা। যেখানে হাথুরুর সঙ্গে ছিলেন নিক পোথাস এবং সদ্য যোগ দেয়া মুশতাক আহমেদ। স্পিনারদের কাছে না পেয়ে লিটনকে ব্যাটিং শিখিয়ে সময় কাটান এই স্পিন মায়েস্ত্রো। নির্দিষ্ট কিছু শট নিয়ে কাজ করেন লিটন। পাশের নেটে তখন ইনজুরি থেকে আবারো নিজের ছন্দে ফেরার চেষ্টায় ছিলেন সৌম্য সরকার। তার দিকেও ভালোই মনোযোগি ছিলেন হাথুরু।
১৭ জনের এই প্রাথমিক স্কোয়াড এবং পরে যুক্ত হওয়া সাকিব-মোস্তাফিজদের ১৯ জনের মধ্য থেকেই ঠিক হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড। বিশ্ব আসরের এতো আগে সুনির্দিষ্ট এই পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাবেক টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। টুকটাক সমালোচনা থাকলেও এরাই বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটার বলে মনে করেন তিনি।
সুজন বলেন, যে টিমটা তারা এরই মধ্যে ঘোষণা করেছেন, দারুণ একটা ভারসাম্যপূর্ণ টিম। হয়তো অনেকেই না থাকতে পারে... এ নাই, ও আছে, কিন্তু যারাই আছে তারা সবাই পারফর্মার। তারা ভালো ক্রিকেটার। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনেককিছু দেয়ার আছে এই ছেলেদের। শুধু আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা আশা করি, বিশ্বাস করি এই ছেলেরাই একদিন
অনেককিছু বাংলাদেশকে এনে দিবে।'
ওয়ানডে এবং টেস্টে বাংলাদেশ দলে নিয়মিত মুখ হলেও টি-টোয়েন্টিতে এখন ব্রাত্য মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে, বিষয়টিতে নেতিবাচক নয় ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সুজন। মিরাজের জন্য আক্ষেপ থাকলেও, হৃদয়-রিশাদ এবং লিটনকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত এই পরিচালক। তার মতে, আসছে বিশ্বকাপে এরাই হবে বাংলাদেশের ট্রাম্প কার্ড।
সুজন বলেন, তানজিদ তামিম দারুণ ব্যটিং করেন। যদিও তিনি লিগে ওইরকম রান করতে পারেনি। তবে আমার মনে হয়, ছোট ফরম্যাটে সে মারাত্মক হবে। লিটনের ভালো সময় চলে আসবে। আশা করি লিটন বাংলাদেশকে অনেক ম্যাচ জেতাবে, ইনশাআল্লাহ ।'
মিরাজের বাদ পড়া নিয়ে তিনি বলেন, 'মিরাজকে নিয়ে অনেক কথা থাকতে পারে। কিন্তু আমি মিরাজকে একটু আনলাকি ভাবব। আর আমি রিশাদকে নিয়ে অনেক খুশি। যেভাবে সে এই ঢাকা লিগে পারফর্ম করছে। আমি মনে করি, এই পারফরম্যান্সটা যদি সে কন্টিনিউ করতে পারে বাংলাদেশের জন্য ও একটা সম্পদ হবে আর অনেক সাহায্য করবে আসলে।'
সুজন যখন কথা বলছিলেন, তখনও নেটে শিষ্যদের নিয়ে ঘাম ঝরাচ্ছিলেন কোচিং প্যানেলের তিন সদস্য। যেখানে দুই নেটে ছিলেন টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে না থাকা মুমিনুল আর সাদমান। তাদের সঙ্গে বোলিং এন্ডে এবাদতও ছিলেন কোচদের সঙ্গী হয়ে।