স্পোর্টস ডেস্ক : হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে এক মাস মাঠের বাইরে ছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। ওই সময় ইন্টার মায়ামির হয়ে চার ম্যাচ এবং আর্জেন্টিনার দুটি প্রীতি ম্যাচে তিনি ছিলেন না।
এরপর মাঠে ফিরে অবশ্য কয়েকটি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন মেসি। মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) মায়ামির শীর্ষস্থান ধরে রাখতে জয়ের বিকল্প নেই, তবে আসন্ন ম্যাচে এই প্রধান তারকার খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। চোট নয়, এর নেপথ্যে মাঠের কৃত্রিম টার্ফ!
এর আগে মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম আর্টিফিশিয়াল টার্ফে মেসির খেলা নিয়ে কিছুটা দোদুল্যমান অবস্থা দেখা দিয়েছিল। ন্যাচারাল মাঠের চেয়ে যেখানে চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ওই সময় তাকে কৃত্রিম টার্ফের মাঠে খেলানো হয়নি। তেমন পরিস্থিতি আবারও সামনে এসেছে এই তারকা ফরোয়ার্ডের সামনে। মায়ামি আগামী রোববার তাদের পরবর্তী ম্যাচে মুখোমুখি হবে নিউ ইংল্যান্ড রিভোলিউশনের। ম্যাচটি হবে কৃত্রিম টার্ফ দিয়ে গড়া জিলেট স্টেডিয়ামের মাঠে। তাই চোটের ঝুঁকি এড়াতে ম্যাচটিতে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের না খেলার সম্ভাবনাই বেশি!
অন্যদিকে, চোটের সমস্যা রয়েছে মেসির দীর্ঘদিনের বন্ধু ও মায়ামির উরুগুইয়ান তারকা লুইস সুয়ারেজের। তিনি হাঁটুর চোট নিয়ে ভুগছেন লম্বা সময় ধরে। যার কারণে তার ক্যারিয়ারও আর বেশি বড় না হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই মেসির মতো মায়ামির আসন্ন ম্যাচে হয়তো সুয়ারেজকেও পাবে না। এ নিয়ে কথা বলেছেন মায়ামি ও যুক্তরাষ্ট্রের তারকা ফুটবলার জুলিয়ান গ্রেসেল।
একটি পডকাস্ট অনুষ্ঠানে সতীর্থ ফুটবলারদের খেলার সম্ভাবনা নিয়ে গ্রেসেল বলেন, ‘আমরা যখন ম্যাচটির জন্য প্রস্তুতি শুরু করব, তখন (তাদের খেলা ব্যাপারে) জিজ্ঞেস করব। তখন আসলে জানতে পারব যে আসন্ন ম্যাচটিতে কারা খেলবেন। কিন্তু তিনিই একমাত্র (সুয়ারেজ) যার খেলা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অবশ্য আলবারও (জর্দি) চোট আছে।’
মেসি ওই ম্যাচের একাদশে থাকবেন কি না, এ নিয়ে অবশ্য ভিন্ন কথা বললেন গ্রেসেল, ‘আমি যতটুকু শুনেছি সম্ভবত (একাদশে) নাম আছে তার।’
মায়ামির জার্সিতে সবশেষ ম্যাচটা ছিল মেসিময়। কারণ তিনি জোড়া গোলের পাশাপাশি অপর গোলেও অবদান রেখেছিলেন। ম্যাচটিতে ন্যাশভিলেকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল ফ্লোরিডার ক্লাবটি। এই জয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের লিগ টেবিলে আবারও শীর্ষস্থানে উঠল মায়ামি। ১০ ম্যাচে ৫ জয় ও ৩ ড্র নিয়ে তাদের পয়েন্ট ১৮। এক ম্যাচ কম খেলেও সমান পয়েন্ট নিয়ে এরপরই অবস্থান নিউইয়র্ক আরবির।