স্পোর্টস ডেস্ক : এবারের আইপিএলে ছক্কা মারাকে একটি তুচ্ছ বিষয়ে পরিণত করেছেন ব্যাটাররা। বিশেষ করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটারদের কথা বলতেই হয়। ওপেনার থেকে শুরু করে লোয়ার অর্ডার, দলটির সবাই যেন ছক্কা মারার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। ছক্কা মারতে মারতে এবার রেকর্ডবুকেও নাম লিখিয়ে ফেলেছে দলটি।
বুধবার (৮ মে) লখনৌ সুপারজায়ান্টসের বিপক্ষে যেন ছেলেখেলায় মেতেছিল হায়দরাবাদ। ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০ উইকেট আর ১০.২ ওভার হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা। আর তাতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০ ওভারের মধ্যে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়েছে হায়দরাবাদ।
লখনৌয়ের বিপক্ষে এদিন আরও একটি রেকর্ড গড়েছে হায়দরাবাদ। আইপিএলের এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ছক্কার মারার রেকর্ডে শীর্ষে এখন তারা। লখনৌয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে হায়দরাবাদের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা এবং ট্রাভিস হেড মিলে ছক্কা মেরেছেন ১৪টি। তাতে এই মৌসুমে দলটির ছক্কার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৬টিতে।
হায়দরাবাদের আগে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড ছিল চেন্নাইয়ের দখলে। ২০১৮ সালে চেন্নাই মেরেছিল ১৪৫টি ছক্কা। পরের বছরই সেই রেকর্ড প্রায় ভেঙে ফেলেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১৯ সালে কলকাতার ছক্কা ছিল ১৪৩টি। তালিকার চতুর্থ স্থানে থাকা রয়্যাল বেঙ্গালুরু ২০১৬ সালে ১৪২টি ছক্কা মেরেছিল। ২০২৩ সালে ১৪০টি ছক্কা মেরে তালিকার পঞ্চম স্থানে আছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
তবে হায়দরাবাদের সুযোগ আছে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাওয়ার। রাউন্ড রবিন লিগে এখনও দুই ম্যাচ বাকি আছে তাদের। এরপর আবার যদি প্লে-অফে উঠতে পারে তাদের দল, সেখানে আরও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে তারা। তাতে ছক্কার সংখ্যাটা ২০০–এর কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে।
চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচ খেলে ৭টিতে জয় পেয়েছে হায়দরাবাদ। পয়েন্ট টেবিলের তিনে অবস্থান প্যাট কামিন্সের দলের।