স্পোর্টস ডেস্ক : গতকাল কানের পাশ দিয়ে গুলি গেছে বাংলাদেশের। হতশ্রী জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ গতকালও ব্যর্থ হওয়ায় ১৪৩ রান করেও ৫ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেও সাকিব –শান্তরা অবিশ্বাস্য এক রেকর্ডের জন্ম দিয়েছেন।
গতকাল ওপেনিং জুটিতে ১০১ রান এনে দিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। মাত্র ১১ ওভারে ১০০ রান করা এক দল ১৪৩ রানেই গুটিয়ে গেছে গতকাল। বহুদিন পর খেলতে নামা সাকিব ৩ বলে ১ রান করে ফিরেছেন। অধিনায়ক নাজমুল হোস্নে শান্ত ৭ বলে করেছেন ২ রান। এই প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কোনো দলের ওপেনিং জুটি এক শ রান এনে দেওয়ার পরও সে দল দেড় শ পার করতে ব্যর্থ হলো।
অবশ্য শুধু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি বা ওপেনিং জুটিতে আটকে রাখারও দরকার নেই। সব ধরনের টি-টোয়েন্টিতেই এমন কিছু দেখা যায়নি। এবং শুধু ওপেনিং জুটি নয়, ইনিংসের কোনো পর্যায়ে কোনো জুটি এক শ রান এনে দিয়েছে- এমন ক্ষেত্রে গতকালই প্রথম কোনো দল দেড় শ রান করতে ব্যর্থ হলো। টি-টোয়েন্টিতে এভাবে ধস নামতে দেখা যে খুব বিরল।
গতকালের আগে যেকোনো ধরনের টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি জুটির পরও কোনো দলের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটি ছিল গুজরাট লায়ন্সের। ২০১৭ আইপিএলে ডোয়াইন স্মিথ ও ঈশান কিষান ১১ ওভারের মধ্যেই ১১ রান এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু লায়ন্সের বাকি বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ৪৩ রানের মধ্যে গুটিয়ে গিয়েছিল দলটি। ১৫৪ রান তাড়া করে অনায়াস জয় পেয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
সে রেকর্ড ভাঙার ভালো একটা চেষ্টা চালয়েছিল মুম্বাই। ২০১৯ সালে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৮ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দলকে ভরসা দেন শ্রেয়াস আইয়ার ও সূর্যকুমার যাদব। ১২৬ রানের জুটিতে ৪৯ বলে ৮০ রান করেছিলেন সূর্যকুমার। কিন্তু ১৫তম ওভারে আইয়ার আউট হতেই নামে ধস, ২১ রানে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানে থামে মুম্বাই। মজার ব্যাপার, শুবমান গিল-যুবরাজ সিং সমৃদ্ধ পাঞ্জাব সে ম্যাচেও ৩৫ রানে হেরে গিয়েছিল।
২০১৮ সালে ভারতের অঞ্চলভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগেও ঘটেছিল এমন এক ঘটনা। কর্ণাটকের ১৮১ তাড়া করতে নেমে সঞ্জু স্যামসনের ৪১ বলে ৭১ রানে সাড়ে ৯ ওভারেই ১০৯ রান তুলে ফেলে কেরালা। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে দলকে ১২৮ রানে রেখে ফিরলেন স্যামসন। অধিনায়কের পথ ধরে সবাই ড্রেসিংরুমমুখী হলে ১৬১ রানেই অলআউট হয় কেরালা।
২০২৩ বিগ ব্যাশেও এমন কিছু দেখা গিয়েছিল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলা পার্থে হয়ে পালটা আক্রমণ করেন জশ ইংলিশ ও অ্যারন হার্ডি। তাদের ১২০ রানের জুটিই থামতেই অবশ্য আবার ধস। ১৬২ রানেই থেমে যায় পার্থ। তবে বোলাররা ঠিকই মেলবোর্ন রেনেগেডসের বিপক্ষে ১৩ রানের জয় এনে দিয়েছিলেন।