স্পোর্টস ডেস্ক : জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি অনেকটা নিয়মরক্ষার হলেও, স্বাগতিক বাংলাদেশের ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখার প্রত্যাশায় ছিল সবাই। কারণ দুয়েকজন বাদে টপ–অর্ডার ব্যাটাররা সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিক হতে পারছেন না।
যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ। রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে খেলতে নেমে তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার সেই দুশ্চিন্তা যেন আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিলেন। দলীয় ৯ রানেই ফিরলেন দুই ওপেনার। ৬ রানের ব্যবধানে আউট তাওহীদ হৃদয়ও।
প্রথমে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে পুল করতে গিয়ে ২ রান করে ফিরেছেন তানজিদ। ছক্কা মেরে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত সৌম্য ফিরলেন পরের ওভারেই। স্পিনার ব্রায়ান বেনেটের বলে আউট হওয়ার আগে করলেন ৭ বলে ৭ রান।
প্রথমে মুজারাবানি বল ছাড়ার আগেই যেন মারার মাইন্ডসেট ঠিক করে রেখেছিলেন তামিম। তার বাড়তি বাউন্স পুল করতে গিয়ে টাইগার ওপেনার খাড়া ওপরে তুলে দেন। দ্বিতীয় ওভারে ৯ রানেই বিদায় প্রথম উইকেটের। এরপর রান আর যোগ না করতেই সৌম্য’রও বিদায়। বেনেটের বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে বেশ শর্ট লেংথেই ছিল। সেটিতে কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন সৌম্য।
দুই ওপেনারকে হারানোর ধাক্কা সামলানোর আগে নড়বড়ে হৃদয়ও। তিনিও বেনেটের বলে কাট করতে গিয়ে হয়েছেন কট বিহাইন্ড। ৪.১ ওভারে ১৫ রান তুলতে বাংলাদেশের নেই ৩ উইকেট। শুরুতেই চাপে পড়ে গেল স্বাগতিকরা। পাওয়ার-প্লেতে কি দাপট দেখাবে, উল্টো যেন বলের সমান রান করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে নাজমুল শান্তদের।
এর আগে এদিন একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে বিশ্রামে থাকা তিন টাইগার ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শেখ মেহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে এই ম্যাচের একাদশে ফেরানো হয়েছে। তাদের জায়গা করে দিতে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব ও তানভীর ইসলামকে।