স্পোর্টস ডেস্ক : জিম্বাবুয়ে সিরিজে ব্যাটাররা হতাশ করলেও বোলাররা দেখিয়েছেন দারুণ নৈপুণ্য। বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ; নিয়ন্ত্রিত লাইন লেন্থ বজায় রেখে গতির ঝড় তুলে প্রতি ম্যাচেই দলের জয়ে ভালো অবদান রেখেছেন তিনি।
তবে শেষ টি-টোয়েন্টিটা চোটের জন্য খেলতে পারেননি তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগে তাসকিনের ইনজুরি দুশ্চিন্তায় ফেলেছে টাইগারদের। তবে কী কপাল পুড়ল তাসকিনের?
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। সিরিজের আগের চার ম্যাচে ব্যাটারদের ব্যর্থতা সত্বেও বোলাররা দারুণ নৈপুণ্যে ম্যাচ জিতিয়েছে। কিন্তু সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে বোলাররা ঠিকঠাক জ্বলে উঠতে পারেননি। এর পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে তাসকিন আহমেদের না থাকাকে। পঞ্চম ম্যাচের আগে অনুশীল করতে গিয়ে চোটে পড়েছেন তাসকিন। অনুশীলনে পেশিতে টান পড়েছে তার।
সিরিজের আগের চার ম্যাচের সবগুলোই খেলেছেন তাসকিন। ৪ ম্যাচে মাত্র ৭৩ রান দিয়ে ৮ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। যার প্রেক্ষিতে সবশেষ হালনাগাকৃত র্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টি বোলারদের তালিকায় ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে উঠে এসেছেন তাসকিন।
তাসকিনের ইনজুরি কতটা গুরুতর তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জানা গেছে, তাসকিনের চোটটা মূলত সাইড স্ট্রেইনের। এই ধরনের চোট থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে অন্তত ৩-৪ সপ্তাহ সময় লাগবে।
তাসকিনের সব রিপোর্ট কাল হাতে পাবে বিসিবি। এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ধারণা করা হচ্ছে তাসকিনকে নিয়েই বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ। তেমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে সেখানে তার চিকিৎসা হবে বলেও জানিয়েছেন পাপন।
এদিকে আজ মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তাসকিন। সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন কিনা? জবাবে তাসকিন বলেছেন, 'এখনই কোনো কিছু নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।'
চোট প্রবণ তাসকিন বিপিএলের সময় থেকেই টানা ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন। শ্রীলঙ্কা সিরিজে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেললেও টেস্ট সিরিজে খেলেননি তিনি। এরপর ডিপিএলে ঢাকা আবাহনীর হয়ে খেলে বিসিবির ক্যাম্পে যোগ দেন তিনি।
জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম চার ম্যাচেই টানা খেলানো হয়েছে তাকে। পঞ্চম ম্যাচেও ফিট থাকলে তাকে নিশ্চিতভাবেই খেলানো হতো। জিম্বাবুয়ের মতো অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী দলের বিপক্ষে দলের সেরা পেসারদের একজনকে টানা খেলিয়ে ইনজুরি শঙ্কায় ফেলে দেয়াটা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্নও উঠছে তাসকিন চোট পাওয়ার পর।