স্পোর্টস ডেস্ক : একদিকে বিশ্বকাপের দল ঘোষণার প্রস্তুতি চলছিল, আরেক দিকে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের সেন্টার উইকেটে লিটন দাসের ব্যাটিং অনুশীলন। লিটনের এই অনুশীলন নিজেকে ফিরে পাওয়ার।
জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষ করে বিশ্বকাপের উদ্দেশ্যে আগামীকাল দেশ ছাড়ার আগে ক্রিকেটাররা যে যার মতো করে সময় কাটাচ্ছেন। যেটাকে বিশ্রামই বলা যায়।
লিটনের সেই বিশ্রামের সুযোগ কই? ব্যাটে রানের দেখা নেই। উইকেটে লিটনের বিচরণও হতাশার কথাই জানান দিচ্ছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচে একাদশে তার জায়গা হয়নি। প্রথম তিন ম্যাচে তার ব্যাট থেকে যথাক্রমে ১, ২৩ ও ১২ রান।
সাম্প্রতিক সময়ে লিটন রান খুঁজে ফিরছেন অন্য দুই সংস্করণেও। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ দলে তার থাকা না থাকা নিয়ে একটা আলোচনা চলছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য লিটনকে রেখেই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা হয়েছে। তবে তাকে নিয়ে প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়েছে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে। তার কাছে প্রশ্ন ছুটে যায়, উপযুক্ত বিকল্পের অভাবেই কি শেষ পর্যন্ত লিটনকে স্কোয়াডে রাখতে হয়েছে?
উত্তরটা অনেকটা সে রকম হলেও, লিটনকে রাখার পক্ষে যুক্তিও দেখিয়েছেন গাজী আশরাফ, ‘লিটনকে যে ম্যাচে (গত মার্চে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে) যুক্ত করতে পারিনি, সেটা সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ ছিল।
আমাদের চিন্তা করতে হয়েছে, শুধু একজন ওপেনার না, উইকেটকিপিংয়ের দিকটাও আছে (বিশ্বকাপ দলের বিবেচনায়)। সে ক্ষেত্রে আরেকটা বিকল্প ওপেনারের ক্ষেত্রে এনামুল হক বিজয়ের নাম চিন্তা করেছি। তবে ফর্মের ঘাটতির পরও আমরা লিটনের ওপর আস্থা রেখেছি। ওকে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, কিভাবে সে এগিয়ে আসতে পারে। বল নির্বাচন ও শট নির্বাচনের ক্ষেত্রে লিটনকে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।’