স্পোর্টস ডেস্ক : কয়েক মৌসুম ধরে চলা নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিতে যাচ্ছেন কিলিয়ান এমবাপে। তার আগে পিএসজি অধ্যায়ের শেষটাও রাঙিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। যদিও এমবাপে ঘোষিত শেষ ম্যাচ আগেই হয়ে গিয়েছিল।
গতকাল তাকে রেখেই অলিম্পিক লিওঁ’র বিপক্ষে ফ্রেঞ্চ কাপ ফাইনালের স্কোয়াড সাজায় পিএসজি। পরে ২-১ গোলের জয় শেষে চ্যাম্পিয়ন দলটির সতীর্থরা এমবাপেকে শূন্যে তুলে উদযাপনে মেতেছেন।
লিলের স্তাদ পিয়েরে-মাউরোয় ফরাসি কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় দু’দল। যেখানে প্যারিসের ক্লাবটি রেকর্ড ১৫তম বারের মতো ফ্রেঞ্চ কাপের শিরোপা নিশ্চিত করেছে। যা ৭ বছরের পিএসজি ক্যারিয়ারে এমবাপেরও ১৫তম শিরোপা।
যদিও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ না জেতার আক্ষেপ নিয়েই তিনি ক্লাবটি থেকে বিদায় নিচ্ছেন। ফাইনালে পিএসজির হয়ে গোল করেছেন বার্সেলোনা ছেড়ে স্বদেশি ক্লাবে যাওয়া উসমান দেম্বেলে ও ফ্যাবিয়ান রুইজ।
ফরাসি জায়ান্টদের দুটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। দেম্বেলে ২২তম মিনিট ও রুইজ গোল করেন ৩৪ মিনিটে। বিরতির পরপরই ঘুরে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ জানানোর আভাস দেয় লিওঁ।
যদিও সেটি এক গোলের বেশি কিছু এনে দিতে পারেনি। ৫৫ মিনিটে ব্যবধান কমান লিঁওর আইরিশ সেন্টার–ব্যাক জেইক ও’ব্রায়ান।
এ ছাড়া নিকোলাস তালিয়াফিকো ও আলেক্সান্ডার লাকাজেত সমতাসূচক গোলটা প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমার বীরত্বে।
এদিন গোল না পেলেও, মৌসুমজুড়ে পিএসজির সাফল্যের বড় দাবিদার তো এমবাপেই। পিএসজির জার্সিতে সাত বছরের ক্যারিয়ারে ৩০৮ ম্যাচে ক্লাব রেকর্ড ২৫৬ গোল করেন এমবাপে।
ক্লাবটির কিংবদন্তি বলা হলেও হয়তো ভুল হবে না। তার বিদায়ী ম্যাচে স্টেডিয়ামে বসে ম্যাচটি দেখেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এমবাপের সঙ্গে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তিনি ভালোবাসার আলিঙ্গনও করেছেন। এদিকে, ফরাসি কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে, ঘরোয়া ‘ট্রেবল’ জয়ের আনন্দে মৌসুম শেষ করল লুইস এনরিকের দল।
ফাইনাল শেষে এমবাপেকে কাঁধে তুলে নিয়ে শূন্যে ভাসিয়ে উদযাপন করেছেন সতীর্থরা। তার দল ছাড়া নিয়ে পিএসজির অভ্যন্তরীণ পরিবেশ কিছুটা উত্তপ্ত থাকলেও, শেষটা রাঙিয়ে যেতে পারলেন এমবাপে। তার পরবর্তী গন্তব্য যে রিয়ালই হতে যাচ্ছে সেটি অনেকটাই অনুমেয়।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল শেষেই হয়তো স্প্যানিশ ক্লাবটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটি দিয়ে দেবে। এদিন ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে সংঘর্ষে জড়িয়েছিলেন পিএসজি ও লিওঁ’র ভক্তরা। যেখানে কমপক্ষে ২০ জন আহতের পাশাপাশি আটক হয়েছেন অন্তত ৩০০ জন।