স্পোর্টস ডেস্ক : আবেদনের সময় তো শেষ। বিশ্বকাপের পর রাহুল দ্রাবিড় ভারতের কোচের পদ থেকে সরে যাবেন সেটাও একপ্রকার নিশ্চতই।
কিন্তু এখন পর্যন্ত ভারতের কোচের পদে কারও নামই স্পষ্ট করা হয়নি। বিশ্বের সবচেয়ে দামী কোচের তকমা নিজের করে নিতে আগ্রহী অনেকেই। নাম জমা পড়েছে প্রায় ৩ হাজার। তবে কোচ কে হবেন, সেটা বোধহয় একপ্রকার নিশ্চিত হয়েই আছে।
ভারতের বেশিরভাগ গণমাধ্যমের ভাষ্য, বিসিসিআই তাদের পরবর্টি কোচ হিসেবে একজনকেই পাখির চোখ করে রেখেছে। তিনি সদ্যই কলকাতা নাইট রাইডার্সকে শিরোপা এনে দেয়া গৌতম গম্ভীর। অধিনায়ক হিসেবে দুবার আইপিএল জিতেছেন। ভারতের হয়ে ০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর ১১ এর ওয়ানডে বিশ্বকাপও জিতেছেন।
ক্রিকেটটাও গম্ভীর বেশ ভালোই বোঝেন। এবারে কলকাতা শিবিরে কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত হলেও আদতে খেলোয়াড়দের কাছে গুরু হয়ে ছিলেন ‘মেন্টর’ পদে আসা গম্ভীর।
সাবেক এই ওপেনারকে কলকাতায় ধরে রাখতে শাহরুখ খান ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়েছেন, এমন খবরও প্রকাশ করেছে বেশকিছু ভারতীয় মিডিয়া। আর এত তোড়জোড়ের কারণ, কোচের পদে গম্ভীরকেই সবচেয়ে বেশি মনে ধরেছে ভারতীয় ক্রিকেটের কর্তাব্যক্তিদের।
বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিটিআইকে জানিয়েছে, ‘সময়সীমা ঠিক আছে, কিন্তু বিসিসিআই তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে আরও কিছু সময় নিতে আপত্তি করবে না। এই মুহূর্তে, দলটি জুন মাসের ভালো অংশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে ব্যস্ত থাকবে।’
ওই সূত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কা এবং জিম্বাবুয়ে সফর থেকে সিনিয়ার ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেয়া হতে পারে। যেখানে এনসিএ-ভিত্তিক সিনিয়র কোচদের কেউ দলের সঙ্গে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে অবশ্য ভিভিএস লক্ষ্মণের নামটাই সবার আগে থাকবে।
তবে সব জল্পনা-কল্পনা উসকে দিয়েছে রোববারের ফাইনালের পর জয় শাহ এবং গৌতম গম্ভীরের কথোপকথন। চেন্নাইয়ে কেকেআরের সেলিব্রেশনের সময়ে বিসিসিআই সচিব লম্বা সময় ধরে গম্ভীরের সঙ্গে আলাপ করেছিলেন।
এই ছবিটিকে অনেকেই প্রধান কোচের ভূমিকায় গম্ভীরের আগমনের বড় সূত্র বলেই ধরে নিয়েছেন। একজন খেলোয়াড় এবং মেন্টর হিসেবে গম্ভীরের ব্যাপক অভিজ্ঞতা এবং সফল ট্র্যাক রেকর্ডের কারণে প্রধান কোচ হিসেবে গম্ভীরের নিয়োগ এখন সময়ের ব্যাপার বলেই ধরে নেয়া হচ্ছে।
ভারতের প্রধান কোচ হিসেবে দ্রাবিড়ের মেয়াদ জুনে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর শেষ হয়ে যাবে। রাহুল দ্রাবিড় এই পদের জন্য পুনরায় আবেদন না করার কারণে, বিসিসিআই তার উত্তরসূরি খুঁজতে শুরু করেছে। নতুন কোচের সঙ্গে ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।