স্পোর্টস ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগে কখনও টি-টোয়েন্টিতে জয় পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। গতকাল (সোমবার) পরাজয় এসেছে একেবারে তীরে গিয়ে, ৪ রানের ব্যবধানে।
ম্যাচটিতে ছিল শেষদিকে বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের ছাপ। এদিন বাংলাদেশ ইনিংসের ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওটনিয়েল বার্টমানের বল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্যাডে লেগে বাউন্ডারি পার হয়ে যায়। এর আগেই সেই বলে এলবিডব্লিউর আবেদন হলে আম্পায়ার স্যাম নগাজস্কি তাতে সাড়া দেওয়ায় সেই চার পাওয়া হয়নি, ওই রানেই হারতে হয়েছে টাইগারদের।
যদিও পরে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিয়াদ রিভিউ নিলে দেখা যায় সেটি নট আউট। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটি আঘাত করত লেগ স্টাম্পেরও বেশ বাইরে। তবে আম্পায়ার আগেই আউট দিয়ে দেওয়ায় আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী সেই ৪ রান যোগ হয়নি স্কোরবোর্ডে।
ম্যাচ শেষে বিতর্কিত আম্পায়ারিং নিয়ে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করা তাওহীদ হৃদয় বলেন, ‘সত্যি বলতে এটা গুড কল ছিল না। ম্যাচটা টাইট ছিল। আম্পায়ার আউট দিয়ে দিলেন। আমাদের জন্য এটি মেনে নেওয়া কঠিন। ওই ৪ রান হলে ম্যাচের দৃশ্য বদলে যেত। এ নিয়ে আমার আর কিছু বলা ঠিক হবে না।’
আম্পায়ারিংয়ে উন্নতির কথাও বললেন হৃদয়, ‘নিয়ম তো… আইসিসি কী করেছে এটা তো আমার হাতে নেই। কিন্তু ওই ৪টা রান আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আম্পায়ারও মানুষ, ভুল হতেই পারে।
কিন্তু আরও ২-১টা ওয়াইড দেয়নি। এমন ভেন্যুতে খেলা যেখানে রান হচ্ছে না, লো স্কোরিং ম্যাচ। সে জায়গায় ১-২ রান অনেক বড় ফ্যাক্ট। ওই ৪ রান বা ২ ওয়াইড ক্লোজ কল ছিল। আমার আউটও আম্পায়ার্স কল ছিল। এই জায়গাগুলোতে উন্নতির জায়গা আছে। আইসিসির নিয়ম আমাদের হাত নেই।’
রিয়াদকে দেওয়া ওই সিদ্ধান্তের পরের ওভারে হৃদয়ের আউটের সিদ্ধান্তটিও হতে পারত অন্যরকম। তাকে এলবিডব্লু দেওয়া বলটিও আঘাত করত লেগ স্টাম্পের ওপরের দিকে বেলে। রিভিউ নিয়েও আম্পায়ার্স কলের কারণে কপাল পোড়ে হৃদয়ের। ফলে তার টাইগারদের হয়ে তার করা সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস সেখানেই থেমে যায়।