স্পোর্টস ডেস্ক : চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই ম্যাচ খেলে দুই রকম অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলো বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পড়ে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
ঠিক উল্টো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। অন্তিম মুহূর্তে গিয়ে ম্যাচ হেরে হৃদয়ে চলছে রক্ত ক্ষরণ। বাংলাদেশ মেলাতে পারেনি ৪ রানের সমীকরণ। তাতে বিশ্বকাপে সুপার এইটের সমীকরণ আরো কঠিন হয়ে গেছে বাংলাদেশের।
প্রথম পর্বে গ্রুপ লড়াইয়ে বাংলাদেশের এখানো ম্যাচ বাকি আছে দুইটি। ১৩ মে নেদারল্যান্ডস এবং ১৭ মে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ম্যাচগুলো জিতলে সহজেই সুপার এইটে খেলবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আর যদি একটি হারে, একটি জেতে তাহলে রান রেটের হিসেব কষতে বসতে হবে। দুটি ম্যাচে প্রত্যাশিত সাফল্য পেলে বাংলাদেশের কোনো যদি-কিন্তুর সমীকরণ মেলাতে হবে না।
এই গ্রুপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা টানা তিন জয়ে সবার আগে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে। গ্রুপ সিডিংয়ে তারা ডি-১ হয়ে যাবে সুপার এইটে। আর বাংলাদেশ যদি সুপার এইটে যায় তাহলে ডি-২ হয়ে যাবে। গত দুই আসরের মতন পূর্ব নির্ধারিত সিডিং অনুযায়ী ঠিক হবে সুপার এইটের গ্রুপ। আইসিসি এ তথ্য আগেই জানিয়েছে। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা সুপার এইটে যাবে গ্রুপ টু’তে। আর বাংলাদেশ সুপার এইটে খেলবে গ্রুপ ওয়ানে।
ডি গ্রুপ থেকে শ্রীলঙ্কার সুপার এইটে উঠা কঠিন। অভিজ্ঞতার বিবেচনায় বাংলাদেশই রয়েছে এগিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শেষ হলো তিক্ততায়। এবার মার্কিন মুলুকে আর ম্যাচ নেই।
বিশ্বকাপের আগে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজে হেরে যায় বাংলাদেশ। প্রচন্ড বাজে পারফরম্যান্সেই আইসিসি সহযোগী দেশের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। ওই হারের ক্ষত যেতে না যেতেই প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ ভারতের আক্রমণে টিকতে পারেনি। তাতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কেমন করবে সেই চিত্র অনেকটাই আঁকা হয়ে যায়।
তবে মূল আসরে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শুরুটা খারাপ করেনি বাংলাদেশ। পেণ্ডুলামে ঝুলতে থাকা ম্যাচ শেষ পর্যন্ত জিতে যায়। কিন্তু শেষটা হয়েছে হৃদয় ছারখার হয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১১৪ রানের টার্গেট বাংলাদেশ তাড়া করতে পারেনি। ম্যাচটি জিততে পারলে বাংলাদেশের সুপার এইটের দরজা খোলা হয়ে যেত সহজেই। সহজ জয় হাতছাড়া করে বাংলাদেশ এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে কঠিন ম্যাচ খেলতে হবে। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে থাকলেও এবার অঘটন কম হচ্ছে না কিন্তু সেটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে।