স্পোর্টস ডেস্ক: প্রথম দুই ম্যাচ মিলে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র ১২ বল। অবশেষে কাল একটু বেশিক্ষণ উইকেটে থাকার সুযোগ পেলেন মুশফিকুর রহিম। সুযোগ পেয়েই দলের সেরা ইনিংস খেললেন মুশফিক। এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ও রবি বোপারার ব্যাটে লড়াই করার পুঁজি পেয়েছিল করাচি কিংস। তবে তাঁদের এমন চেষ্টা কাজে লাগেনি, ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে করাচি।
আগের দুই ম্যাচেই মুশফিক নেমেছেন ইনিংসের ১৭ বা ১৮তম ওভারে। কাল নামলেন নবম ওভারে। ৮.৪ ওভারে ৪৭ রানে তখন ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে করাচি। আউট হওয়ার আগে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ বলে ৩৩ রান করেছেন মুশফিক। বোপারার সঙ্গে তাঁর গড়া ৪৯ বলের ৬০ রানের এই জুটিতেই মোটামুটি একটা স্কোরের ভিত্তি পায় করাচি। আজ শারজায় ব্যাটিং করা কতটা কষ্টকর ছিল সেটি বোঝাতে তাঁর সঙ্গী বোপারার ইনিংসের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। বোপারা ৪৫ করতে খেলেছেন ৫০ বল!
পিএসএলে গিয়ে বোধ হয় ব্যাটিংটাই ভুলে গেছেন সাকিব। টুর্নামেন্টের শুরুটা করেছিলেন ম্যাচ জেতানো এক ফিফটি দিয়ে, এরপর থেকেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ সাকিব। টানা এমন ব্যর্থতাতেই আজ সাতে নামানো হয়েছিল তাঁকে। আজও ব্যাট হাতে স্বচ্ছন্দ মনে হয়নি তাঁকে। ভাগ্যের সাহায্যে মারা ১ চারে ৬ বলে ৭ রান করেছেন তিনি। মুশফিক-বোপারা ছাড়া অন্য ব্যাটসম্যানরাও ছিলেন অনুজ্জ্বল, তাই করাচিও পায়নি ১২৮ রানের পুঁজি।
বোলিংয়েও অনুজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। ২ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। করাচি অধিনায়ক শোয়েব মালিক সাকিবের হাতে আর বল তুলে দেওয়ার সাহস পাননি। করাচির বোলারদের ব্যর্থতা কাজে লাগিয়ে ৭ বল বাকি রেখেই ম্যাচ জিতেছে ইসলামাবাদ। সাত ম্যাচে সাকিবদের পঞ্চম হার এটি।-প্রথম আলো
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর