স্পোর্টস ডেস্ক : এবারের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় চমক আফগানিস্তান। গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ড ও সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার মতো পরাশক্তিকে হারিয়ে রীতিমতো উড়ছিল তারা।
তবে, সেমিফাইনালে উঠেই একেবারে ম্যাড়ম্যাড়ে অবস্থা দলটির। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৫৬ রানেই গুটিয়ে গেছে রাহমাতুল্লাহ গুরবাজ-রশিদ খানরা।
২০ রানেই পতন হয়েছিল ৪র্থ উইকেটের। সেখান থেকে আর ঘুরে দাটান হয়নি আফগানদের। পাওয়ারপ্লেতে নেই ৫ উইকেট। ৫০ রানের মাথায় একে একে আউট হলেন আরও ৩ জন ব্যাটার। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার আইসিসির মেজর কোনো আসরের সেমিফাইনাল খেলতে নেমে আফগানিস্তান টের পেল ক্রিকেটের নির্মম এক চিত্র। আফগানিস্তানের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এটিই সর্বনিম্ন সংগ্রহ। এছাড়া কোনো পূর্ণ সদস্যের দেশের জন্য এটি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।
ওপেনারদের ফেরালেই যেন আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ পুরোপুরি ব্যর্থ। টুর্নামেন্টের সেরা ৫ রান সংগ্রাহকের মাঝেই আছেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান। মার্কো জানসেন শুরুতেই ফেরালেন গুরবাজকে। এই ওপেনারের উইকেট হারানোর পরেই টের পাওয়া গিয়েছিল বিপর্যয়ের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই রিজা হেন্ডড্রিকসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক গুরবাজ। ৩ বলে আউট হওয়ার সময় রানের খাতাই খোলা হয়নি তার।
জানসেন নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফেরান ওয়ানডাউনে নামা গুলবাদিন নাইবকে। বিপর্যয় সামাল দিতে তাকে ওপরে উঠানো হয়েছিল আজ। কিন্তু সেটা কাজে লাগেনি কোনোভাবেই। বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনিও। পরের ওভারেই সবচেয়ে বড় ধাক্কা খায় আফগানরা। কাগিসো রাবাদার ওই এক ওভারেই ফেরেন মোহাম্মদ নবী আর ইব্রাহিম জাদরান। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাজঘরে ফেরার পর আফগানিস্তানের ফাইনাল খেলার স্বপ্নটাও যেন অনেকটা মিলিয়ে আসে।