স্পোর্টস ডেস্ক : দীর্ঘ এক মাসের লড়াই, উন্মাদনা আর চার-ছক্কার হৈ-হুল্লোড় পেরিয়ে ফাইনালের মঞ্চে পা রেখেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। মহামঞ্চের মহারণে মুখোমুখি এশিয়া ও আফ্রিকা। কোন মহাদেশে যাবে শিরোপা? উত্তর মেলাতেই দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে শিরোপার খোঁজে মাঠে নামছে অপরাজেয় দুই দল।
আজ শনিবার (২৯ জুন) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় বার্বাডোজের ব্রিজটাউনের কেনিংসটন ওভালে শিরোপার খোঁজে নামছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমবারের মত আইসিসির কোনো বিশ্ব আসরের শিরোপা বাগিয়ে নিতে চায় প্রোটিয়ারা। অপরদিকে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে শিরোপা উদ্ধারে চোখ ভারতের। সবশেষ ২০০৭ সালে প্রথম আসরে শিরোপা জিতেছিল ভারত।
এর আগে মোট সাতবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এবারই প্রথম ফাইনালে পা রাখলো প্রোটিয়ারা। আসরজুড়ে দলের পারফর্ম্যান্স ফাইনালের আগে বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে অধিনায়ক এইডেন মার্করামকে। তার ভাষ্য, ‘ফাইনালে খেলার সুযোগ পাওয়া বিশাল অর্জন। আমরা শুধু ফাইনালে খেলতে আসিনি, ফাইনাল জিততে এসেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘সাদা বলের দুই ফরম্যাটে দীর্ঘদিন ধরেই একসাথে খেলছে এই দলটি। ফাইনালে উঠতে পারাটা দারুণ। আমরা বিশ্বের যেকোন দলের সাথেই লড়াই করতে পারি ও শিরোপা জিততে পারি বলে আমরা বিশ্বাস করি। সেই সুযোগ এখন সামনে আসায় ভালো লাগছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার মতো এবারের বিশ্বকাপে অপরাজিত দল ভারতও। পুরো আসরে বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া এক ম্যাচ বাদে সব ম্যাচ জিতেছে ভারত। ফাইনালেও এই ধারা বজায় রাখতে চান দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ২০০৭ সালের সুখস্মৃতি বিশ্বকাপের নবম আসরে ফিরিয়ে আনতে চায় ভারত।
ম্যাচের আগে প্রেস কনফারেন্সে রোহিত বলেন, ‘আমাদের সামনে ২০০৭ সালের সুখস্মৃতি ফিরিয়ে আনার সুবর্ণ সুযোগ। ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি জিততে মুখিয়ে আছে দলের সবাই। ওই আসরের দলে আমি ছিলাম। আশা করছি আবারো শিরোপা জয়ের উৎসবে মেতে উঠতে পারবো আমরা।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনাল নিয়ে রোহিত বলেন, ‘দল হিসাবে আমাদের শান্ত থাকতে হবে। কারণ, মাথা ঠান্ডা থাকলে ও চাপ না নিলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া যায়। ফাইনালে জিততে হলে ভালো ক্রিকেট খেলা ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। আমরা এবার আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছি। ফাইনালে একই পরিকল্পনায় খেলতে চাই।’
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ২৬ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে ভারতের ১৪ ও দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ১১ ম্যাচে। ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি হওয়া ৬ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার ২ জয়ের বিপরীতে ভারতের জয় ৪টিতে। ২০০৭, ২০১০, ২০১২ ও ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে জিতেছে ভারত। ২০০৯ ও ২০২২ সালের আসরে জয় প্রোটিয়াদের।