স্পোর্টস ডেস্ক : পারফরমেন্স নিয়ে চরম হতাশাতো আছেই। শেষ দিকে, অর্থ্যাৎ সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১১৩.৮৮ স্ট্রাইকরেটে ৩৬ বলে ৪১ আর ভারতের সাথে ১২৫.০০ স্ট্রাইকরেটে ৩২ বলে ৪০ রানের ইনিংস দুটি ছাড়া পুরো বিশ্বকাপে তার ব্যাট কথা বলেনি। বাকি ৫ ম্যাচে (৭, ১৪, ১, ৪ ও ৫) শান্তর সংগ্রহ মোটে ৩১।
যা টপ অর্ডার হিসেবে নাজমুল হোসেন শান্তর চরম ব্যথতার দলিল। যেহেতু তিনি অধিনায়ক, ব্যাটিংটাই তার প্রধান কাজ। ব্যাটে দলকে কার্যকর কিছু দিতে না পারার নেতিবাচক প্রভাবটা পড়েছে শান্তর অধিনায়কত্বে। সমালোচনার লাখো তীর তার ওপর নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
এদিকে তাকে ২০২৪ সালের পুরো বছরের জন্য অধিনায়ক করা হয়েছে। এ বছর তিনি টেস্ট, ওয়ানডের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও অধিনায়ক।
কিন্তু বিশ্বকাপেই তার অধিনায়ক্ত নিয়েও নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। শান্ত কি সত্যিই আর অধিনায়ক থাকবেন? নাকি তাকে সরিয়ে আর কাউকে দায়িত্বে দেয়া হবে? এসব গুঞ্জন চারদিকে।
আজ মিডিয়ার সামনে আসা বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালার ইউনুসের কাছে এ প্রশ্ন রাখা হলে তিনি তাৎক্ষনিকভাবে ‘হ্যাঁ’, ‘না’ স্পষ্ট করে বলেননি। জালাল বোঝাতে চাইলেন, শান্তকে এ বছরের পুরো সময়ের জন্য অধিনায়কের দায়িত্ব দিয়েছে বোর্ড। বোর্ডই সিদ্ধান্ত নেবে, তাকে রাখা হবে কি হবে না।
জালালের ব্যাখ্যা, ‘অধিনায়ক অ্যাপপয়েন্টমেন্ট বলেন, কোচ অ্যাপয়েন্টমেন্ট বলেন- এটা তো বোর্ডের সিদ্ধান্ত। একজনকে আমরা দিয়েছি। শান্তকে আমরা ম্যান্ডেট দিয়েছি এক বছরের জন্য। সুতরাং এখন পর্যন্ত এখানে কোনো চিন্তা-ভাবনা করি নাই। তাসকিন শুরু করেছে ভাইস ক্যাপ্টেন হিসেবে। আই থিংক সামনে থেকে লিড দিতে পারে। বাট ক্যাপ্টেন এই মুহুর্তে চেঞ্জ হবে কি না বা ভবিষ্যতে হবে কি না এই মুহুর্তে আমি বলতে পারব না। সবকিছু বোর্ডের সিদ্ধান্ত আসে। আমি এখনও মনে করি যে শান্তকে এই বছর আমরা ম্যান্ডেট দিয়েছি বাকিটা বোর্ডের ইচ্ছা।’