স্পোর্টস ডেস্ক : মাসখানেক আগে ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন দিনেশ কার্তিক। খেলুড়ে জীবনের ইতি টেনে এবার তিনি কোচিংয়ে যোগ দিলেন। আইপিএলের সামনের মৌসুম থেকে বিরাট কোহলির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করবেন এই ৩৯ বছর বয়সি।
শুধু ব্যাটিং কোচ নন, বেঙ্গালুরুর মেন্টরও হয়েছেন কার্তিক। কোচ হওয়ার খবরে কার্তিক বলেছেন, ‘বিষয়টা দারুণ যে আমি বেঙ্গালুরুর সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। চেষ্টা করব দলকে আরও শক্তিশালী করার।’
মে’তে আইপিএলকে বিদায় জানানো কার্তিক গত ১ জুলাই প্রায় দুই যুগের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানেন। বাংলাদেশিদের কাছে তিনি শুধু একটি নাম নন, দুঃস্বপ্নও বটে। বিশেষ করে রুবেল হোসেনের কাছে। ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে টাইগারদের হারাতে সবচেয়ে বড় অবদানটা রাখেন তিনিই। ১৮তম ওভারে মেডেন দিয়ে ১ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। তখন ম্যাচের লাগাম ছিল লাল সবুজদের হাতে।
শেষের দুই ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৩৪ রান, ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় যা অসম্ভবই ছিল। রুবেল হোসেনের ১৯তম ওভারে কার্তিক একাই তুলেন ২২ রান। সৌম্য সরকারের শেষ ওভারে ১২ রান নিয়ে ম্যাচ জিতে যায় টিম ইন্ডিয়া। কার্তিক অপরাজিত থাকেন ৮ বলে ২৯ রান করে।
এই শতাব্দীর গোড়ার দিকে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল কার্তিকের। ২০০৪ সালে ওয়ানডে দলে ও টেস্টে অভিষেক হয় তার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় ২০০৬ সালে। পেশাদার ক্রিকেটে খেলাবস্থায়ই ধারাভাষ্যকক্ষে বিচরণ করেছেন কার্তিক। ২০২১ সালে ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজে কাজ করেছেন। ধারাভাষ্যকার হিসেবে দ্য হান্ড্রেডেও দেখা গেছে তাকে। সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
জাতীয় দলের হয়ে ২৬টি টেস্ট, ৯৪টি ওয়ানডে ও ৬০ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন কার্তিক। তাতেই তিনি জিতেছেন ১টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ১টি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২টি এশিয়া কাপ। ঘরোয়া ক্রিকেটে দিল্লি ক্যাপিটালস, পাঞ্জাব কিংস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, গুজরাট লায়ান্স, কলকাতা নাইট রাইডার্স ও তামিল নাডুর প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।