স্পোর্টস ডেস্ক : সবশেষ আইপিএলের ঘটনা। হার্দিক পান্ডিয়ার সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছিল না। রোহিত শর্মাকে সরিয়ে তাকেই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছিল না মুম্বাই ভক্তরা। ঘরের বাইরের মাঠে দুয়োধ্বনি শুনতে হয়েছিল তাকে। এরপর নিজেদের মাঠ ওয়াংখেড়েতে দুয়ো শুনেছেন হার্দিক। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল, দর্শকদের সামাল দিতে স্বয়ং রোহিত এগিয়ে এসেছিলেন।
অধিনায়কত্ব ইস্যুতে গণমাধ্যম কিংবা স্যোশাল মিডিয়া অথবা, দর্শক গ্যালারি – সব জায়গাতেই যেন ভারতের জাতীয় শত্রুতে পরিণত হয়েছিলেন হার্দিক। দলের পারফরম্যান্স ছিল যাচ্ছেতাই। ফলে, দর্শকদের দুয়োধ্বনি , ‘ছাপড়ি’ গালি হজম করা ছিল তার রোজকার রুটিন।
আইপিএল শেষে জাতীয় দলের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যোগ দিতে হার্দিক পুরোনো রূপে। ব্যাটে রান। বোলিংয়ে উইকেট। হার্দিক ফিরে পান মুখের হাসি। দর্শকরাও ফিরিয়ে দেন ভালোবাসা। ফাইনাল ম্যাচে তার করা শেষ ওভারে শিরোপার ফয়সালা হয়।
যেখানে হার্দিক জিততে দেননি প্রোটিয়াদের। শুধু তা-ই নয়, যখন দক্ষিণ আফ্রিকার ৩০ বলে ৩০ রান লাগত তখন হেনরিক ক্লাসেনকে ফিরিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফেরান এই পেস অলরাউন্ডার। শেষমেশ ভালো ম্যাচ জিতে নেয় ৭ রানে।
হার্দিক খলনায়ক থেকে হয়ে যান নায়ক। তার জন্য আজ সেই মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে হলো গগণবিদারী চিৎকার। গ্যালারিতে ‘হার্দিক হার্দিক’ স্লোগান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে বৃহস্পতিবার টিম ইন্ডিয়া দেশে ফিরেছে। মুম্বাইয়ে ছাদ খোলা বাসে মেরিন ড্রাইভ ঘুরেন রোহিত, বিরাট কোহলিরা।
এরপর পুরো দলকে নিয়ে আসা হয় ওয়াংখেড়েতে। সেখানেই শোনা গেল হার্দিক স্লোগান। শুধু তাই নয়, তার কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন সমর্থকরা। এক তরুণী ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘সব কথার আগে আমি হার্দিক পান্ডিয়াকে “সরি” বলতে চাই। আমি জানি না, কেন তাকে ট্রল করেছিলাম। আমি খুবই দুঃখিত। তোমাকে ধন্যবাদ। (বিশ্বকাপ ফাইনালে) তোমার শেষ ওভারটা দুর্দান্ত ছিল। আমি আবারও সরি বলতে চাই। কেন তোমার সঙ্গে ভুলভাল বলেছিলাম, আমি জানি না।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও হার্দিকের কাছে খোলা চিঠি লিখে সমর্থকরা নিজেদের জায়গা থেকে সরে এসেছেন।