স্পোর্টস ডেস্ক : কিলিয়ান এমবাপ্পের আদর্শ কে? এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে কোনো ফুটবল ভক্তই হয়তো খুব বেশি সময় ক্ষেপণ করবেন না। তাই তো সংবাদ সম্মেলনের অনেকটা জুড়েই প্রশ্ন থাকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ঘিরে।
কেননা আগামীকাল ইউরোর সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে যে একে অপরের প্রতিপক্ষ হিসেবে মাঠে নামবেন তারা।
রোনালদোকে নিয়ে এমবাপ্পে বলেন, ‘তার প্রতি আমার যে শ্রদ্ধা সেটা সবাই জানে। আমাদের মধ্যে এখনো যোগাযোগ হয়। তিনি অনন্য, তার মতো খেলোয়াড় আর আসবে না। ফুটবলের ইতিহাসে ছাপ রেখেছেন তিনি, অনুপ্রাণিত করেছেন গোটা প্রজন্মকে। খেলাটির কিংবদন্তি হয়ে থাকবেন তিনি। তবে আশা করি কাল আমরা জিতব। ‘
২০১৬ ইউরোতে ফ্রান্সকে হারিয়েই শিরোপা জিতেছিল পর্তুগাল। টিভিতে বসেই সেই ম্যাচ দেখেছিলেন এমবাপ্পে। বর্তমানে তিনিই এখন দলটির অধিনায়ক। বিশ্বকাপ জিতলেও ইউরো এখনো অধরা তার কাছে। তবে খুব বেশিদূর ভাবতে চান না এই ফরোয়ার্ড। আপাতত পর্তুগাল ম্যাচকে ঘিরেই তার যতসব পরিকল্পনা।
এমবাপ্পে বলেন, ‘আমি ভবিষ্যৎ পড়ি না। আমরা সবগুলো ধাপ পেরিয়ে এসেছি। জয়ের লক্ষ্য নিয়েই খেলে থাকি। আপাতত কেবল পর্তুগাল ম্যাচকে ঘিরেই মনোযোগী আমরা। পর্তুগালের মতো দলের বিপক্ষে খেললে একজনের নাম আলাদা করে নেওয়া মুশকিল। রাফায়েল লেয়াও, ব্রুনো, বের্নার্দোরা বিপজ্জনক খেলোয়াড়, এমনকি আমার পিএসজি সতীর্থরাও।’
গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে খেলার সময় নাক ফেটে যায় এমবাপ্পের। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে না খেললেও বাকি ম্যাচগুলোতে মুখে মাস্ক পরে খেলতে হয়েছে তাকে। যদিও তাতে কিছুটা অস্বস্তিতে ভুগছেন, কিন্তু এমবাপ্পের কাছে খেলতে পারাটাই স্বস্তির।
তিনি বলেন, ‘আমি কেবল আমার মতামত দিয়েছি মাত্র। এই মাস্ক ছাড়া আমি খেলতে পারতাম না। তাই মাস্ককে ধন্যবাদ দিতেই হয়। আমি এমন খেলোয়াড় নই যে অজুহাত তৈরি করে। তবে পুরোপুরি ফিট হওয়ার জন্য আমার ভালো শারীরিক প্রস্তুতি প্রয়োজন। এর বেশি কিছু বলতে পারব না। আমি ভাগ্যবান যে কাল খেলতে পারব। ‘