স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথমবারের মতো লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) খেলার সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম। জাতীয় দলের হয়ে একসঙ্গে খেললেও আজ টুর্নামেন্টে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামেন একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে।
ম্যাচে শরীফুলদের শেষ ওভারের রোমাঞ্চে হারিয়ে জয়ের হাসি হেসেছেন তাসকিনরা। কলম্বোর ২ রানের ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তাসকিন।
অভিষেক ম্যাচে উইকেট ১টির বেশি না পেলেও কিপটে বোলিং করেছেন এই পেসার। অন্যদিকে
তাসকিনের চেয়ে ১টি উইকেট বেশি নেওয়া শরীফুল বোলিংয়ে ছিলেন খরুচে। ৪৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি পেসার।
ডাম্বুলায় ২০০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ক্যান্ডির প্রয়োজন ছিল ২০ রান।
অধিনায়ক থিসারা পেরেরা বল হাতে নিয়ে প্রথম বলেই চতুরাঙ্গা ডি সিলভাকে আউট করেন। দ্বিতীয় বলে ব্যাটার পবন রথনায়েক সিঙ্গেল নিয়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে দিলে সমীকরণ দাঁড়ায় ৪ বলে ১৯ রান।
পরের তিন বলে ৬, ৪ ও ৬ মেরে ম্যাচ জমিয়ে দেন ম্যাথুস। কিন্তু শেষ বলে আর ৩ রান নিতে পারলেন না তিনি। উল্টো পেরেরার নিখুঁত ইয়র্কারে ১ রান নিতে গিয়ে শেষ বলে রান আউট হন তিনি। এতে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে ২ রানের জয় পেয়েছে তাসকিনরা।
রান তাড়ায় ক্যান্ডির শুরুটা ভালো না হলেও দ্বিতীয় উইকেটে ৯৫ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন আন্দ্রে ফ্লেচার (৪৭) ও মোহাম্মদ হারিস (৫৬)। তবে ৪ রানের ব্যবধানে দুজনে ফিরে গেলে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। শেষ দিকে ১৪ বলে ৩৩ রান করে দলকে ম্যাচ জেতানোর চেষ্টা করেও ২ রানের ব্যবধান মেলাতে পারেননি ম্যাথুস।
শেষ ওভারে ম্যাচ জয়ের নায়ক পেরেরা হলেও ক্যান্ডির ব্যাটিং অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন মাতিশা পাতিরানা। ২৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারও পেয়েছেন ‘বেবি মালিঙ্গা’।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৯৯ রান করে কলম্বো। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন গ্লেন ফিলিপস। ৪৩ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৬ চার ও ৩ ছক্কায়।