মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৭:০৯:০৫

টি-২০ ফরম্যাটে আমরাই সেরা: ধোনি

টি-২০ ফরম্যাটে আমরাই সেরা: ধোনি

স্পোর্টস ডেস্ক : প্রত্যেকটা ম্যাচের পরেই মহেন্দ্র সিং ধোনিকে এই প্রশ্নটার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কেন সুযোগ পাচ্ছেন না ব্যাটসম্যানেরা? যুবরাজ সিংয়ের কথা বাদই দেওয়া গেল, কিন্তু বাকিরাও সেভাবে সুযোগ পাচ্ছেন কই? এর মধ্যে একমাত্র পুনে ম্যাচেই সুযোগ পাওয়া গিয়েছিল, কিন্তু সেখানে চূড়ান্ত ব্যর্থ দল।

এদিনও বিপক্ষ কম রান করায় প্রথম তিনজনের বাইরে আর কারও ব্যাট করার সুযোগ আসেনি। যুবরাজ সিংকে একবার দেখা গিয়েছিল প্যাড–হেলমেট পরে তৈরি আছেন। কিন্তু নামার সুযোগ পেলেন না। ধোনি সে–কথা মেনে নিলেন, কিন্তু বলতে ভুললেন না তার দলের ব্যাটিং কতটা শক্তিশালী।

‘সবাই ব্যাট করার সুযোগ পায়নি ঠিকই, কিন্তু দেখতে হবে আমাদের ব্যাটিং লাইন–আপ কতটা গভীর। সবাই যাতে সুযোগ পায় সেটা যেমন দেখতে হবে, তেমনই ৬, ৭ বা ৮ নম্বরে যারা ব্যাট করতে নামবে, তারা যেন বড় শট খেলতে পারে। কারণ, বড় শটই পার্থক্য গড়ে দেবে।’

তবে বোলারদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একেবারেই উল্টো। অস্ট্রেলিয়া এবং শ্রীলঙ্কা সিরিজে ধোনি মোটামুটি সব বোলারকেই ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে খেলিয়ে নিয়েছেন। যশপ্রীত বুমরা বা হার্দিক পান্ডিয়ার মতো বোলারদেরও খুঁজে পেয়েছেন। ‘শেষ কয়েকটা ম্যাচে বোলাররা ডেথ বোলিংটা বেশ ভাল করেছে। যেটা বেশ ভাল ব্যাপার।’

ম্যান অফ দি সিরিজ রবিচন্দ্রন অশ্বিনের প্রশংসায়ও পঞ্চমুখ ধোনি। শ্রীলঙ্কা সিরিজের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ম্যাচে অশ্বিনকে শুরু থেকেই আক্রমণে এনেছিলেন তিনি। ফায়দাও পেয়েছেন। দুটি ম্যাচেই ৪টি করে উইকেট পেয়ে সিরিজ–সেরা তামিলনাড়ুর এই বোলার।

ধোনির মন্তব্য, ‘অশ্বিনকে নতুন‍ বল দিলেই, ও ভাল ফ্লাইট করিয়ে ব্যাটসম্যানকে প্রলোভিত করে এগিয়ে খেলার জন্য। এই ফরম্যাটে যেটা গুরুত্বপূর্ণ। শুরুটা এত সুন্দর করে যে পরের বোলাররা অনেকটা স্বাধীনতা পেয়ে যায়।’ সামনেই বিশ্বকাপ। সেটাও ঘরের মাঠে।

দ্বিতীয়বারের জন্য ট্রফিটা কি ভারতের ক্যাবিনেটে আসতে চলেছে? ধোনির গলা আত্মবিশ্বাসী শোনাল। জোর দিয়ে বললেন, ‘সীমিত ওভারের ফরম্যাটে আমরাই সেরা। ঘরের মাঠে খেলায় স্পিনাররা কাজে আসবে এবং সেটা অতিরিক্ত লাভ। তাছাড়া সাতটা আই পি এল খেলেছি। সেই অভিজ্ঞতাও কাজে লাগবে।’

পরপর দু’ম্যাচে ব্যাট হাতে জয়ের কারিগর যিনি, সেই ধাওয়ান আবার ম্যাচের পরের দিনই খোশমেজাজে। বিশাখাপত্তনম থেকে ঘরে ফেরার আগে সতীর্থ রোহিত শর্মাকে ‘সাক্ষাৎকার’ও দিলেন। তার কাছে প্রশ্ন ছিল, এই আগুনে ফর্ম কতটা সাহায্য করবে বিশ্বকাপে?

হেসে ধাওয়ানের জবাব, ‘ভাল লাগছে এটা ভেবে যে, আমি ফর্মে ফেরায় সতীর্থরা খুশি। চেষ্টা করছি বেসিক ব্যাপারগুলো ঠিকঠাক রাখতে আর বল মারার সময় টাইমিংটা ঠিকঠাক রাখতে।’ মাঠের বোলারদের ওপর সংহারমূর্তি ধারণ করলেও, মাঠের বাইরে ততটাই খোলামেলা ধাওয়ান। সতীর্থদের সঙ্গে সব সময় মজা করে চলেছেন। সে–কথা তুলতেই হেসে গড়িয়ে পড়লেন।

বলেন, ‘আমি আর ভাজ্জি (হরভজন সিং) মজা করার জন্য বিখ্যাত। মানুষ আমাকে যতটা সিরিয়াস ভাবে, ঠিক ততটা আমি নই। আমি পুরোপুরি বিপরীত। আমি মজা করতে এবং লোককে হাসাতে ভালবাসি। আর এটা করবই, দল হারুক বা জিতুক। খেলোয়াড়দের কোনও মতেই অখুশি হতে দেওয়া যাবে না।’

১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে