বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৮:৩৪:০৯

হাঙরের মুখ থেকে বেঁচে ফিরলেন স্টেইনরা

হাঙরের মুখ থেকে বেঁচে ফিরলেন স্টেইনরা

স্পোর্টস ডেস্ক : ভিডিওটা দেখলেই রক্ত হিম হয়ে যেতে পারে। লোহার খাঁচায় সমুদ্রে ডুবুরির পোশাকে নেমেছেন কয়েকজন। সমুদ্রের গভীরে নামাতেই খাঁচার বাইরে হাঙরের দাপাদাপি। বার কয়েক খাঁচায় হামলাও করল সেই ‘গ্রেট হোয়াইট শার্ক’।

পারলে ছিঁড়ে এখুনি খেয়ে ফেলে। সেটা না পেরে পরপর আঘাত খাঁচায়। সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত দেখে তখন আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হওয়ার জোগাড়। আতঙ্কে এক জন তো তারস্বরে চিৎকারই জুড়ে দিলেন খাঁচায়।

ক’দিন আগেই রাস্তার পাশে পড়ে থাকা আহত একটি সাপকে বাঁচাতে গিয়ে ব্ল্যাক মাম্বার মুখোমুখি হওয়ার ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। এ বার হাঙরের ‘দাঁত’ থেকে বাঁচলেন। তিনি— ডেল স্টেইন।

কাঁধের চোটের জন্য ইংল্যান্ড সিরিজের বেশির ভাগটাই মাঠে নামতে পারেননি স্টেইনগান। মঙ্গলবার তার সতীর্থ এবি ডেভিলিয়ার্স, ডেভিড মিলার, ফাফ দু’প্লেসিদের সঙ্গে অ্যাডভেঞ্চারে আরও বড় চোট লাগতে পারত দক্ষিণ আফ্রিকার পেস তারকার। সে সব বিপদ নিয়ে অবশ্য বিন্দুমাত্র চিন্তিত লাগল না স্টেইনকে।

উল্টে হাঙরের মুখ থেকে ফিরে এসে খাঁচার বাইরে হাসিহাসি মুখে সেলফিও পোস্ট করেছেন স্টেইন। তবে কতটা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ছিল সেটা স্টেইনের ইনস্টাগ্রামের পোস্টেই স্পষ্ট। ‘‘তিনি যখন হাজির হবেন কোনও ইয়ার্কি-ফাজলামি মারার জায়গা থাকবে না। ওয়াও!!!’’ হাঙরের খাঁচায় হামলা দেখে চিৎকারটা কার ছিল সেটাও ফাঁস করেছেন স্টেইন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের প্রেস অফিসার লেরাটো মালেকুটুর।

আর বাকিদের অভিজ্ঞতা কেমন? মারকুটে ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলার টুইট করেছেন, ‘‘দুর্দান্ত একটা অভিজ্ঞতা হল। শার্ক কেজ ডাইভিং শেষ। অসাধারণ একটা প্রাণী।’’ দু’প্লেসির আবার টুইট, ‘‘সমুদ্রের বিগ ডগদের সঙ্গে দিনটা দুরন্ত কাটল।’’

আর ডে’ভিলিয়ার্স? তিনি এখনও অভিজ্ঞতার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় না জানালেও একটা রহস্য তিনিও ফাঁস করে দিয়েছেন সমুদ্রে এই অ্যাডভেঞ্চারে নামার আগেই। বিশ্বের বাঘা বাঘা বোলাররা যাঁকে দেখে কেঁপে যান, তিনি হাঙরকে ভয় পান না। পান ‘সি সিকনেস’কে।

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে