স্পোর্টস ডেস্ক : লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজদের সঙ্গে নেইমার জুনিয়রের ইন্টার মায়ামিতে যোগদানের গুঞ্জন ছিল আগে থেকেই। সেটি অবশ্য মেলেনি শেষ পর্যন্ত। তবে সম্প্রতি মায়ামিতে ব্রাজিলিয়ান তারকার বিলাসবহুল বাড়ি কেনার খবরে সেই গুঞ্জন আবারও উঠেছে। যা নিয়ে কথা বলেছেন ইন্টার মায়ামির কোচ জেরার্দো টাটা মার্টিনো। যিনি বার্সেলোনাতেও নেইমার-মেসিদের কোচিং করিয়েছেন।
বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমেই সম্প্রতি নেইমারের নতুন বাড়ি কেনার খবর বেরিয়েছে। ইএসপিএন বলছে– নেইমার ১৫০ মিলিয়ন ব্রাজিলিয়ান ডলারে নতুন বাড়ি কিনেছেন। আর তার অবস্থান ফ্লোরিডার মায়ামিতে হওয়ায় ডালপালা মেলেছে ভিন্ন আলোচনাও। যা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে প্রশ্নের মুখোমুখি হন মায়ামি কোচ মার্টিনো।
সেখানে অবশ্য পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। তবে আবার নেইমারের আসার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি, ‘যদি কেউ এখানে বাড়ি কেনে, তার মানে তাদের সবাই কী খেলতে আসছে? আমি বার্সেলোনায় যখন ছিলাম, একই সময়ে সেখানে নেইমারও খেলেছে। আমার জন্য দারুণ সময় ছিল, কারণ উচ্চ মানসম্পন্ন খেলোয়াড়দের সেখানে পেয়েছি। যা সবসময়ই আমার জন্য বিশেষ স্মৃতি। সেখান থেকে লিও (মেসি) এবং আরও কয়েকজন অ্যাথলেটও এখানে এসেছে, সুতরাং যেকোনো কিছুই হতে পারে।’
এরপরই মার্টিনো স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন এমএলএসের আর্থিক নীতিমালার কথা। আর সেখানেই তৈরি হয়েছে নেইমারকে আনায় প্রতিবন্ধকতা। অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে মিল রেখে যুক্তরাষ্ট্রের লিগটিতে যেন প্রতিযোগিতায় ভারসাম্য থাকে তা নিয়ে কড়া নিয়ম রয়েছে। গত আগস্টে ইএসপিএন জানিয়েছিল, বর্তমানে সৌদি আরবের দল আল-হিলালে নেইমারের আয় ১০০ মিলিয়ন ইউরো। একই পরিমাণ বেতন মায়ামিতে দেওয়া বেশ অসম্ভব!
মায়ামি কোচ বলছেন, ‘(নেইমারকে আনার বিষয়ে) আমি ভাবতে পারছি না যে লিগ বেতন ইস্যুটা নমনীয় করবে কি না, সেটি কীভাবে কী করবে জানি না। মিডিয়াতে বলাটা সহজ, তবে বাস্তবতা বেশ কঠিন। যদি বদল না আসে তাহলে এমএলএসের নীতিমালা অনেক কঠিন। বাস্তবতা হচ্ছে আপনি সহজে কিংবা মুক্তভাবে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে পারবেন না। ফোর্ট লডারডেলে বাড়ি কিনলো কিংবা বিয়ে করলো বলেই কোনো খেলোয়াড়ের নাম বলতে পারি না।’
নেইমারের সঙ্গে সৌদি ক্লাব আল-হিলালের চুক্তির মেয়াদ ২০২৫ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত। তবে জানুয়ারি থেকে তিনি প্রাক-চুক্তিতে অন্য কোনো দলে নাম লেখাতে পারবেন। দীর্ঘ এক বছরের এসিএল ইনজুরি কাটিয়ে সম্প্রতি মাঠে ফেরেন তিনি। যদিও এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেই ম্যাচে তিনি খেলেছেন কেবল শেষ ১৩ মিনিট। এদিকে নেইমার পূর্ণাঙ্গ শেপে আসার আগপর্যন্ত তার অপেক্ষায় রয়েছে ব্রাজিল জাতীয় দল। আগামী বছরের মার্চে তিনি হলুদ জার্সি গায়ে তুলতে পারেন।