স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথম দিনে আইপিএলের ইতিহাস গড়েছিলেন আর্শদ্বীপ সিং। ভারতের সর্বোচ্চ দামী পেসার হয়েছিলেন। শ্রেয়াশ আইয়ার এবং ঋশাভ পান্ত এরপরে আইপিএল ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ দামি খেলোয়াড় হয়েছিলেন। কিন্তু দিনশেষে পেসারদের নিয়েই কাড়াকাড়ি ছিল দলগুলোর। দ্বিতীয় দিনে এসেও সেই চিত্রের খুব একটা বদল হয়নি। একাধিক বড় নাম আনসোল্ড থাকলেও ফ্র্যাঞ্চাইজগুলো লড়েছে পেসারদের জন্য।
এই কাড়াকাড়ির মাঝে অবশ্য পেসারদের হারাচ্ছে চেন্নাই সুপার কিংস। শার্দুল ঠাকুরকে ২ কোটিতে রাখার সুযোগ পেয়েও ডাকেনি স্টিফেন ফ্লেমিংরা। এরপরেই তারা হারিয়েছে তুশার দেশপান্ডেকে। ১ কোটি রুপিতে তার জন্য লড়াই শুরু করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর তাকে ধরে রাখতে পারেনি তারা। ৬ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে এই পেসার গিয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসে।
ধরে রাখা হয়নি দীপক চাহারকেও। লম্বা সময় ধরে তার জন্য বিড করেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং পাঞ্জাব কিংস। মুম্বাই এগিয়েই ছিল। রেসে একপর্যায়ে যোগ দেয় চেন্নাই। কিন্তু ৯ কোটি পেরিয়ে যায় তার দাম। দীপকের নতুন ঠিকানা হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
মাঝে আকাশ দীপ এবং মুকেশ কুমারের জন্য অনেকটা সময় বিড করেও পেরে ওঠেনি চেন্নাই। মুকেশ কুমারের জন্য ৬ কোটি ৫০ লাখ দাম বলেছিল পাঞ্জাব কিংস। তখন আরটিএম কার্ড ব্যবহার করতে চায় মুকেশের সাবেক দল দিল্লি। আর একবার দাম বাড়ানোর সুযোগ পায় পাঞ্জাব। ৮ কোটি দাম বলে তারা। শেষ পর্যন্ত আরটিএম কার্ড দিয়ে ৮ কোটিতে মুকেশকে কিনে নেয় দিল্লি।
পেসারদের সন্ধানে থাকা চেন্নাই নিজেদের তিন পেসারকে হারিয়েছে। যদি দলে টেনেছে স্যাম কারানকে। ২০২৩ আইপিএলের নিলামে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় ছিলেন কারান। তখন তার দাম ছিল ১৮ কোটি ৫০ লাখ, কিনেছিল প্রীতি জিনতার পাঞ্জাব কিংস। এবার তাকে ২ কোটি ৪০ লাখে কিনেছে চেন্নাই।
কিন্তু এখনো দলটির পেস বিভাগে ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। আর এতেই আশা বাড়ছে মুস্তাফিজুর রহমানের। নিজেদের গত আসরের পেস ডিপার্টমেন্ট থেকে বাংলাদেশি এই পেসারকে ধরে রাখার একটা চেষ্টা করতেই পারে চেন্নাই সুপার কিংস।