স্পোর্টস ডেস্ক : চলতি বছরেই দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। তবে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের পথে বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বাঁহাতি পেসার আর্শদীপ সিং। পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই তিনি ছিলেন উজ্জল।
১৭ উইকেট নিয়ে ফজলহক ফারুকির সঙ্গে যৌথভাবে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন। আর তার পুরস্কার হিসেবে ২০২৪ সালের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
পাওয়ার-প্লে এবং ডেথ ওভারে দারুণ কার্যকরী বোলিং করেছেন আর্শদীপ। বলতে গেলে এই বয়সেই ভারতের পেস আক্রমণভাগের অন্যতম ভরসার নাম তিনি। আর সেই ভরসার দারুণ প্রতিদানও দিয়েছেন তিনি, পুরস্কার হিসেবে নিজেও পেয়েছেন বর্ষসেরা ক্রিকেটারের তকমা। এই তালিকায় জিম্বাবুয়ের সিকান্দর রাজা, পাকিস্তানের বাবর আজম এবং অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেডের মতো তারকাদের পেছনে ফেলেছেন আর্শদীপ।
গেল বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন আর্শদীপ। পুরো বছরে ১৮ ম্যাচ খেলে তিনি শিকার করেছেন ৩৬ উইকেট। আর সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় আর্শদীপ ছিলেন পাঁচ নম্বরে।
গেল বছর ভারতীয় বোলিং ইউনিটের নেতৃত্ব দেন আর্শদীপ। নিয়মিত পাওয়ার-প্লে এবং ডেথ ওভারে বোলিং করেছেন তিনি। ৭.৪৯ ইকোনোমি রেটে মাত্র ১৫.৩১ গড়ে উইকেট পেয়েছেন তিনি।
সে বছর বেশ কয়েকটি ম্যাচেই নিজের সামর্থের প্রমাণ দিয়েছেন আর্শদীপ। নিউইয়র্কে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এসব ছাপিয়ে তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারফম্যান্সটা করেছেন ফাইনালে। শেষদিকে তার দারুণ কার্যকরী বোলিংয়েই ১৭৬ রানের পুঁজি নিয়ে জয় পেয়েছে ভারত।
ফাইনালে হার্দিক পান্ডিয়ার ভূমিকাও কম নয়। তবে ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়ে আর্শদীপের ভূমিকাও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সেদিন পাওয়ার-প্লে’র তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান এইডেন মার্করামকে ফেরান তিনি। এরপর মাঝের ওভারগুলোতে বল করতে এসে কুইন্টন ডি কককে ফেরান তিনি।
আর্শদীপ ও অন্যান্য বোলারদের নৈপূণ্যে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ভারত। শেষ দুই ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ২০ রান। এমন পরিস্থিতে ১৯তম ওভারে বল করতে এসে মাত্র ৪ রান খরচ করেন আর্শদীপ। আর তাতে শেষ ওভারে তাদের জয়ের জন্য দরকার ১৬ রান। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়া শেষ ওভারটা ভালোভাবেই সামাল দেন। আর তাতেই দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে ভারত।