স্পোর্টস ডেস্ক: দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রাজিলের শুরুটা হয়েছিল ভয়াবহ। গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার কাছে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল ব্রাজিলের যুবারা। অবশ্য সে ধাক্কা সামলে বলিভিয়া (২-১) ও ইকুয়েডরের (৩-২) বিপক্ষে ন্যূনতম ব্যবধানের কষ্টার্জিত জয়ে ঘুরে দাঁড়ায় সেলেসাওরা।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে গতকাল শনিবার রাতে আবারও হেরেছে ব্রাজিল। এবার কলম্বিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরেছে রামোস মেনেসেসের শিষ্যরা। তবে আলবিসেলেস্তেরাও জিততে পারেনি। ইকুয়েডরের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছেন ক্লাদিও এচেভেরি-অগাস্তিন রুবের্তোরো।
এ ড্রতে ৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থেকে পরের রাউন্ডে উঠেছে আর্জেন্টিনা। ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পাওয়া ব্রাজিলও পরের রাউন্ডের টিকিট পেয়েছে। দুই দলই আগের ম্যাচে পরের পর্ব নিশ্চিত করেছে। কারণ, গতকাল যদি ইকুয়েডরের কাছে আর্জেন্টিনা হেরে যেত, তাহলে ইকুয়েডরের পয়েন্ট বেড়ে ব্রাজিলের সমান ৬ হতো। কিন্তু হেড-টু-হেড এ ব্রাজিল ইকুয়েডরকে হারানোয় ব্রাজিলের জায়গা নিশ্চিত হয়েছিল আগেই।
আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের বাইরে ‘বি’ গ্রুপ থেকে পরের রাউন্ডের টিকিট পাওয়া অন্য দলটি কলম্বিয়া (৪ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট)। আর ‘এ গ্রুপ থেকে ‘ফাইনাল স্টেজে’ উঠেছে উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে ও চিলি। এ পর্বে ছয়টি দলই একে অন্যের মুখোমুখি হবে। এরপর পয়েন্ট তালিকার সেরা ৪ দল সরাসরি জায়গা করে নেবে আসন্ন অনূর্ধ্ব-২০ ফিফা বিশ্বকাপে। আর স্বাগতিক হিসেবে বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট খেলবে চিলি।
গতকাল ভেনেজুয়েলার স্তাদিও মিসায়েল দেলগাদোতে অবশ্য বলের দখল আর আক্রমণ- দুই জায়গাতেই এগিয়েছিল ব্রাজিল। তবে কলম্বিয়ার জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারেননি দেভিদ ওয়াশিংতন-রায়ান-পেদ্রোরা। এছাড়া গোলপোস্টের নিচে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কলম্বিয়ান গোলকিপার অ্যালেক্সি রোহাস। আর্সেনাল অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলা ১৯ বছর বয়সী এ গোলকিপার ৬টি সেভ করেছেন।
অন্যদিকে বেশিরভাগ সময়ই অলস সময় কাটিয়েছেন ব্রাজিল গোলকিপার ফিলিপে লঙ্গো। ম্যাচে মোটে একটি সেভ করতে হয়েছে কারিন্থিয়াসের এ গোলকিপারকে। তবে কলম্বিয়ার আরেকটি আক্রমণে ঠিকই পরাস্ত হন ফিলিপে। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে করা নেসের ভিয়ারিয়ালের করা ওই গোলেই শেষ পর্যন্ত জয় পায় কলম্বিয়া।
ব্রাজিলের হারের দিনে নিজেদের ভাগ্য খারাপ বলতে পারে আর্জেন্টিনা। ইকুয়েডরের রক্ষণে আক্রমণের ঢেউ তুলেও গোল আদায় করতে পারেনি আলবিসেলেস্তেরা। ম্যাচে ২১টি শট নিয়েছিলেন রুবের্তো-হিদালগোরা। অন্তত ৩ বার গোলের খুব কাছেও গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ড্র-তেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।