স্পোর্টস ডেস্ক : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে আন্তর্জাতিক অধ্যায়ের ইতি টানবেন মাহমুদুউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। এমন গুঞ্জন দীর্ঘ দিনের। তবে দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে দলকে ডোবানোর পরও এই আসরে দুই সিনিয়রের শেষ দেখছেন না সহকারী সিনিয়র কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
রাওয়ালপিন্ডিতে বৃহস্পতিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
তার আগের দিন দলের পরিকল্পনা জানাতে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন সালাউদ্দিন। এদিন তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক নিজেদের ক্যারিয়ারে ইতি টানবেন কি না?
জবাবে টাইগারদের এ কোচ বলেন, ‘আমরা এরকম কিছু শুনিনি। আপনারা যেহেতু শুনেছেন, আপনাদের পত্রিকার জন্য লিখে দিয়েন। আমরা তো কিছু বলতে পারব না।’
দুই সিনিয়রের বিদায় নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন ওঠারও আছে যৌক্তিকতা। বয়স হয়েছে, পারফরম্যান্সেও কমেছে ধার। তার চেয়েও বড় বিষয়, বিপদের সময় দলের হাল না ধরে উল্টো ডুবিয়েছেন তারা।
ভারতের বিপক্ষে ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া দলের জন্য ব্যাট করতে নেমে ডাক মেরে আউট হন মুশফিকুর রহিম। পরের ম্যাচেও একই দশা তার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৭ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে এগিয়ে দেয়ার পরিবর্তে দলীয় ১০৬ রানে বিলিয়ে দেন নিজের উইকেট। ৫ বল খেলে করেন মাত্র ২ রান। অন্যদিকে চোটের কারণে প্রথম ম্যাচ খেলতে না পারা মাহমুদউল্লাহ কিউইদের বিপক্ষে বাজে শট খেলে উইকেট বিলিয়ে দেন। ১৪ বলে ৪ রান করে আউট হয়ে মুশফিকের পর তিনি আরও চাপে ফেলেন দলকে।
তাদের এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সে বিরক্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনের ক্রিকেট বিশ্লেষকরাও। এখনো মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক অবসরে না যাওয়ায় অবাক ভারতের সাবেক ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিক। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুজনের পারফরম্যান্সের কড়া সমালোচনা করেছেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও এক সময়ের বিসিবির কোচ ওয়াসিম জাফর। অন্যদিকে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম মন্তব্য করেছেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে মাহমুদউল্লাহ ছুটি কাটাতে এসেছে’।
দেড় দশকের বেশি ক্যারিয়ারে দলকে বড় কোনো ট্রফি জেতাতে না পারা সিনিয়ররা বাজে পারফরম্যান্সের পরও আর কতদিন খেলা চালিয়ে যাবেন, কেন নতুনদের জায়গা করে দেবেন না, সে প্রশ্ন থেকেই যায়।