স্পোর্টস ডেস্ক : আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যর্থতার পর নতুন শুরুর আশায় সালমান আলি আগার নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নেমেছে পাকিস্তান। কিন্তু শুরুতেই বড় হোঁচট খেয়েছে ফরম্যাটটিতে ২০০৯ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
ইনিংসের শুরু থেকে পাকিস্তানের ব্যাটিং ছিল একেবারে যাচ্ছেতাই। তরুণ কিউই বোলারদের সামনে তারা পুরো ২০ ওভারও টিকতে পারেনি। ফলে কিউইদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন ৯১ রানেই গুটিয়ে গেল পাকিস্তান।
সালমান-শাহিনরা অবশ্য এমন লজ্জার কীর্তি গড়বেন যে সেটি ম্যাচের শুরুতেই আভাস পাওয়া গিয়েছিল। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে আজ (রোববার) টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১১ রানেই ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা। সেই বিপর্যয় সামলাতে প্রয়োজন ছিল বড় জুটি, ঘুরে দাঁড়ানো কোনো ব্যক্তিগত ইনিংস। কিন্তু খুশদিল শাহ (৩২), সালমান আগা (১৮) ও জাহানদাদ খান (১৭) ছাড়া পাকিস্তানের আর কেউই দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি।
বিপরীতে নিউজিল্যান্ড সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়েই অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণ নিয়ে পথচলা শুরু করেছে। টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টদের অধ্যায় শেষ, লকি ফার্গুসনও ছিলেন না ইনজুরির কারণে। ফলে একেবারে তারুণ্যে গড়া বোলিং বিভাগ নিয়েও কিউইরা ‘মিনি বিশ্বকাপের’ ফাইনাল খেলেছে। যদিও চূড়ান্ত সাফল্য পাওয়া হয়নি। পাকিস্তানের বিপক্ষেও সেই তরুণ বোলাররাই ছিল দারুণ সপ্রতিভ। সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন জ্যাকব ডাফি, কাইল জেমিসনও ৩ উইকেট শিকার করেন।
টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য এরচেয়েও কম রানে অলআউটের রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তারা সর্বনিম্ন ৭৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। সে হিসাবে তাদের আজকের সংগ্রহ ছিল পঞ্চম সর্বনিম্ন, তবে কিউইদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম। এদিন পাকিস্তান রানের খাতা খোলার আগেই হারায় ওপেনার মোহাম্মদ হারিস (০) ও হাসান নেওয়াজের (০) উইকেট। দলীয় খাতায় ১ রান যোগ হতেই আউট ইরফান খানও। এই সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফিরেছিলেন অলরাউন্ডার শাদাব খান। যা নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল বেশ। তিনিও (৩) ফিরলেন দলীয় ১১ রানে।
এরপর পাকিস্তানকে বিপদ থেকে টেনে তোলার স্বপ্ন দেখান সালমান আগা-খুশদিল জুটি। যদিও তাদের দ্বৈত লড়াইয়ের দৌড় থামে ৪৬ রান তুলে। ২০ বলে ১৮ রানে আউট অধিনায়ক সালমান। ভিন্ন কিছুর আভাস দিয়েও খুশদিল ফেরেন ৩০ বলে ৩২ রান করে। এ ছাড়া জাহানদাদ শেষদিকে ১৭ রান করলে পাকিস্তানের দলীয় শতক পেরোবে মনে হচ্ছিল। কিন্তু তেমনটা আর হয়নি। ১৮.৪ ওভারেই তারা ৯১ রানে অলআউট হয়ে যায়।