তামিম যখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, সেঞ্চুরিতে মোহামেডানকে জেতালেন মিরাজ!
স্পোর্টস ডেস্ক : বিকেএসপি'র ৩ নম্বর মাঠে টস করতে নেমেছিলেন তামিম ইকবাল। শাইনপুকুরের বিপক্ষে টস হারায় ফিল্ডিং পেয়েছিলেন। কিন্তু আগে থেকেই কিছুটা অস্বস্তি বোধ করায় আর এই ম্যাচে ফিল্ডিংয়ে নামেননি তামিম।
এরপর দুই দফায় হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালে যেতে হয়েছে মোহামেডানের অধিনায়ককে। তামিম যখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করছিলেন, তখন মাঠে ফিল্ডিংয়ে মনঃসংযোগ ধরে রাখতে লড়ছিল তার দল। শেষ পর্যন্ত সে লড়াইয়ে জয়ী হয়ে ম্যাচটা নিজেদের করে নিয়েছে তারা।
সোমবার (২৪ মার্চ) ডিপিএলের খেলায় শাইনপুকুরকে ৪৬ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে হারিয়েছে মোহামেডান। এদিন অধিনায়ক তামিমকে ছাড়াই ফিল্ডিংয়ে নেমে শাইনপুকুরকে ২২৩ রানে অলআউট করে মোহামেডান। এরপর ওপেনার বনে যাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের সেঞ্চুরিতে ভর করে সহজ জয় পায় ঐতিহ্যবাহী দলটি।
অষ্টম ম্যাচে এটি মোহামেডানের ষষ্ঠ জয়। তাতে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে আছে দলটি।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনার রনি তালুকদারের সঙ্গে ১৬৪ রানের জুটি গড়েন মিরাজ। যার মধ্যে ১০৩ রানই করেছেন মিরাজ। ডিপিএলে এটি এই অলরাউন্ডারের প্রথম সেঞ্চুরি। সব মিলিয়ে লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে প্রথম। ৮৬ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় এই রান করেন তিনি।
দলীয় ১৭৪ রানে আউট হন রনি। ৬১ রান করেন এই ওপেনার। জয়ের জন্য বাকি কাজটা সহজেই সারে মোহামেডান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০৭ রানে ৭ উইকেট হারায় শাইনপুকুর। এরপর শরিফুল ইসলামকে নিয়ে ৭৭ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক রাইয়ান রাফসান। ৭৭ রান করেন রাফসান। শরিফুল করেন ৫৭ রান। মোহামেডানের পক্ষে তাইজুল ইসলাম ৪৪ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন।
এদিকে দিনের আরেক খেলায় ধানমণ্ডি স্পোর্টস ক্লাবকে ৬৪ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে হারিয়েছে শীর্ষে থাকা আবাহনী। আগে ব্যাট করা ধানমণ্ডি ফজলে রাব্বির ৮৭ ও জিয়াউর রহমানের ৫৭ রানে ভর করে ৯ উইকেটে ২০১ রান করে। নাহিদ রানা ৪৫ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন।
জবাব দিতে নেমে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আবাহনীকে জয় এনে দেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। ১৩৩ বলে ১৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১২৪ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৫৪ রান করেন। ধানমণ্ডির স্পিনার এনামুল হক ৪০ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন।
