দারুণ এক রেকর্ড গড়েছেন লিটন, তিনিই এখন সর্বোচ্চ ডিসমিসালের মালিক!

স্পোর্টস ডেস্ক : নাঈম হাসানের ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে সুইচহিট করতে চেয়েছিলেন দিনেশ চান্দিমাল। কিন্তু ঠিকমতো ব্যাটে-বলে না হওয়ায় ক্যাচ উঠে যায় উইকেটের পেছনে। লিটন দাস পেছনের দিকে দৌড়ে সহজ ক্যাচ নেন।

কলম্বোয় দেড়শতাধিক বল খেলা ফেলা চান্দিমালকে ফিরে যেতে হয় ৯৩ রানে। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটাই তার প্রথমবারের মতো নাইন্টিজে কাটা পড়ার ঘটনা। তার ক্যাচ নিয়েই দারুণ এক রেকর্ড গড়েছেন লিটন। টেস্টে তিনিই এখন বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের মালিক।

লিটন ছাড়িয়ে গেছেন মুশফিকুর রহিমের ১১৩ ডিসমিসালকে, তাও আবার ৩৪ ইনিংস কম খেলেই। ৫০ টেস্টের ৬৫ ইনিংসের উইকেটকিপিং ক্যারিয়ারে ১১৪টি ডিসমিসাল তার। এরমধ্যে ৯৯টি ক্যাচ, স্টাম্পিং ১৫টি। মুশফিক ৯৮টি ক্যাচ ও ১৫টি স্টাম্পিং করেছেন ৯৯ ইনিংসে। টাইগারদের মধ্যে একশর বেশি ডিসমিসাল আর কারো নেই। ৮৭ ডিসমিসাল নিয়ে তৃতীয়স্থানে খালেদ মাসুদ পাইলট।

অভিজাত সংস্করণে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের মালিক দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার মার্ক বাউচার। ২৮১ ইনিংসের টেস্ট ক্যারিয়ারে ৫৫৫টি ডিসমিসাল করেছেন তিনি। ৪১৬ ডিসমিসাল নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট।

লিটন রেকর্ড গড়লেও কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা ভালো যায়নি বাংলাদেশের, ভালো যায়নি তো প্রথম দিনটাও। প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছিল ২৪৭ রানে। যার পুরোটাতেই বাংলাদেশের ব্যাটারদের অবস্থা ছিল ‘মরি মরি’, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্ত বাহিনী। একদিনের ব্যবধানে সেই একই পিচ শ্রীলঙ্কার জন্য হয়ে গেল ব্যাটিংবান্ধব।

বাংলাদেশের রান টপকে যেতে শ্রীলঙ্কার পুরো একদিন লাগল না। দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে ২৪৭ টপকে লিড নিয়ে নেয় দলটি। ২ উইকেটে তাদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ২৯০, লিড ৪৩ রানের। ৮ উইকেট হাতে রেখে লঙ্কানরা এই লিডকে কত বড় করে, সেটাই দেখার বিষয়।

টাইগারদের প্রথম ইনিংসের জবাবে মধ্যহ্ন বিরতির আগেই বিনা উইকেটে ৮৩ রান করে ফেলে স্বাগতিক দল। বিরতি থেকে ফেরার পর অবশেষে জুটি ভাঙতে সক্ষম হয় টাইগাররা। তাইজুল ইসলাম এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে তুলে নেন উদারার উইকেট। এরপর নিশাঙ্কা ও চান্দিমাল গড়েন ১৯৪ রানের নিরবচ্ছিন্ন জুটি। প্রথম ম্যাচে ১৮৭ রান করা নিশাঙ্কা তো সেঞ্চুরি তুলে নেনই, আছেন দেড়শর কাছাকাছি।

২৩৮ বলে ১৪৬ রান করে অপরাজিত নিশাঙ্কা। সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় ছিলেন চান্দিমালও, ৯৩-এ কাটা পড়েন নাঈম হাসানের ঘূর্ণিতে। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমে ৫ রানে অপরাজিত প্রবাথ জয়াসুরিয়া।