স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট আবারও কাঁপছে এক ভয়ংকর অভিযোগে! ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ভয়াবহ অভিযোগে জড়িয়ে পড়েছেন শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ব্যাটার মিনহাজুল আবেদিন সাব্বির। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট (আকু) তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
তদন্তে উঠে এসেছে, সাব্বির ডিপিএল চলাকালীন একটি সন্দেহভাজন বিদেশি নম্বরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন। আকুর ধারণা, এটি আন্তর্জাতিক বুকমেকার চক্রের অংশ। বিষয়টি এতটাই গুরুতর যে, তদন্তকারীরা ইতোমধ্যে আইসিসি’র গ্লোবাল আকু এবং এমনকি ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার চিন্তা করছেন। এমনটায় উঠে এসেছে দেশের একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ম্যাচের ভিডিও থেকেই পুরো বিতর্কের সূত্রপাত। গুলশানের বিপক্ষে একটি ম্যাচে শাইনপুকুরের দুই ব্যাটার। প্রথমে রাহিম আহমেদ, পরে সাব্বির—যেভাবে আউট হন, তা ক্রিকেটবোদ্ধাদের চোখ কপালে তুলেছে। ৩৬তম ওভারে রাহিম অবিশ্বাস্যভাবে উইকেট ছুঁড়ে দেন, আর ৪৪তম ওভারে সাব্বির প্রায় কোনো চেষ্টাই না করে ক্যাচ তুলে দেন উইকেটকিপারের হাতে! এতটাই অস্বাভাবিক ছিল ঘটনাগুলো যে, সঙ্গে সঙ্গে ফিক্সিংয়ের গন্ধ পেতে শুরু করে সবাই।
আকুর তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাব্বির বিসিবির দুর্নীতি দমন কোডের একাধিক ধারা ভেঙেছেন। তাই শুধু পাঁচ বছর নয়, অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্তও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে আশরাফুলকে যেভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল, সাব্বিরের ক্ষেত্রেও ততটাই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কারণ, এ ধরনের অপরাধ ক্রিকেটের ভাবমূর্তিকে ধ্বংস করে।
এখন সবকিছু নির্ভর করছে বিসিবির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ওপর। যদি আকুর সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি হবে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে এক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। যা ভবিষ্যতের জন্য এক কঠিন বার্তা হয়ে থাকবে।