স্পোর্টস ডেস্ক : দীর্ঘ ৪৫ বছরের অপেক্ষা ফুরানোর সুযোগ ছিল আজ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়াই করে হংকং চায়নার কাছে ৪-৩ ব্যবধানে হেরে সেই স্বপ্ন ভেঙে গেল বাংলাদেশের। ১৯৮০ সালে প্রথম ও শেষবারের মতো এশিয়া কাপে খেলা বাংলাদেশ এরপর আর কখনো মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে জায়গা করে নিতে পারেনি।
আজ ঘরের মাঠে শুরুটা ছিল স্বপ্নময়। ম্যাচের ১৩ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে ফ্রি কিকে দুর্দান্ত এক গোল করেন হামজা চৌধুরী। লেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডারের বাঁকানো শট জালে জড়ালে উল্লাসে মেতে ওঠে দর্শকসারি।
তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়েই আসে ধাক্কা। ফাহিমের হেড থেকে ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ, সুযোগটি কাজে লাগান হংকংয়ের ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত ফরোয়ার্ড এভারটন কামারগো, ফলে ১-১ সমতায় বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ভুলের মাশুল গুনতে হয় বাংলাদেশকে। ৫০ মিনিটে শাকিল আহাদ তপুর ভুল পাস থেকে গোল করেন রাফায়েল মারকিয়েস। কিছুক্ষণ পরই এভারটনের হেড অল্পের জন্য পোস্টের ওপর দিয়ে যায়। কিন্তু ৭৫ মিনিটে আবারও রাফায়েল গোল করে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন হংকংকে।
শেষ দিকে মরিয়া হয়ে লড়াইয়ে ফেরে বাংলাদেশ। ৮৪ মিনিটে শেখ মোরসালিন গোল করে ব্যবধান কমান, প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের ভুলের সুযোগে। এরপর যোগ করা সময়ের নবম মিনিটে মোরসালিনের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন শমিত শোম, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটি তার প্রথম গোল।
৩-৩ সমতায় শেষ মুহূর্তে ড্র নিশ্চিত ভেবেই উল্লাসে ফেটে পড়ে স্টেডিয়াম। কিন্তু হঠাৎ নেমে আসে নীরবতা যোগ করা সময়ের ১১তম মিনিটে রাফায়েলের হ্যাটট্রিক গোলের মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের স্বপ্ন।
হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত হার মানে ভাগ্যের কাছে। ফলে আবারও এশিয়া কাপের স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল বাংলাদেশের ফুটবলে।