বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:২৬:৪৮

এই প্রথম এমন লজ্জাজনক ঘটনা ঘটরো ক্রিকেটে!

এই প্রথম এমন লজ্জাজনক ঘটনা ঘটরো ক্রিকেটে!

স্পোর্টস ডেস্ক : একদল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ‌্যাম্পিয়ন, ভারত। আরেকদল রানার্সআপ, দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের লড়াইটা হবে জম্পেশ। এমনটাই প্রত‌্যাশা করা হয়। কিন্তু কোটাকে গতকাল ভারত যেভাবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল তাতে টি-টোয়েন্টির আমেজটাই থাকল না।

আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ভারত ৬ উইকেটে ১৭৫ রানের বিশাল সংগ্রহ পায়। দক্ষিণ আফ্রিকা জবাব দিতে নেমে গুটিয়ে যায় মাত্র ৭৪ রানে। যা তাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বনিম্ন রান। এর আগে রাজকোটে ভারতের বিপক্ষে তারা অলআউট হয়েছিল ৮৭ রানে, ২০২২ সালে।

ভারতের শুরুর ব‌্যাটিংও তেমন জমেনি। ৪৮ রানে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরে শুভমান গিল ৪ রানে আউট হন। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ১২ ও অভিষেক শর্মা ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৭ রান করে আউট হন। সেখান থেকে তিলাক ভার্মা ও অক্ষর পাটেল জুটি গড়েন। দুজনই বিশের ঘরে আটকে যান। তিলক ২৬ ও অক্ষর ২৩ রান করেন।

ছয়ে নেমে দলের হাল ধরেন হার্দিক পান্ডিয়া। ১২তম ওভারে মাঠে নেমে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলেন তিনি। পাল্টে দেন স্কোরবোর্ডের চিত্র। ২৮ বলে ৫৯ রান করেন ৬ চার ও ৪ ছক্কায়। তার শেষের ঝড়েই ভারত লড়াকু পুঁজি পায়। যা বোলারদের জন‌্য যথেষ্ট হয়ে যায়।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বল হাতে ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিডি। ২ উইকেট নেন লুথো সিমপালা।
জবাব দিতে নেমে চরম ব‌্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে প্রোটিয়ারা। কুইন্টন ডি কক রানের খাতা খুলতে পারেননি। অধিনায়ক মার্করাম ও ট্রিস্টিয়ান স্টাবস ১৪ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। চারে নামা ডেয়াল্ড ব্রেভিস সর্বোচ্চ ২২ রান করেন। বাকিরা কেউ আর ভালো করতে পারেননি। দলের ছয় ব‌্যাটসম‌্যানই পৌঁছতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘরে। মাত্র ১২.৩ ওভারেই শেষ হয় তাদের ইনিংস।

ভারতের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন আর্শদ্বীপ সিং, জসপ্রিত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তি ও অক্ষর পাটেল। হার্দিক পান্ডিয়া ও শিভাব দুবেও পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।

এই ম‌্যাচে টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক পেরিয়েছেন জসপ্রিত বুমরাহ। তিন ফরম‌্যাটে ১০০ উইকেট নেওয়ার এলিট ক্লাবের নতুন সংযোজন বুমরাহ। যে ক্লাবে আগে থেকে আছেন সাকিব আল হাসান, লাসিথ মালিঙ্গা, টিম সাউদি ও শাহীন শাহ আফ্রিদি।

অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে ম‌্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৫ ম‌্যাচ সিরিজে ভারত ১-০ ব‌্যবধানে এগিয়ে। ১১ ডিসেম্বর নিউ চন্ডিগরেই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।

লোকসানে থাকা ও মূলধন ঘাটতির মধ্যে থাকা ব্যাংকগুলো তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। তবে ব্যাংকগুলো প্রকৃত আয়-ব্যয়ের ভিত্তিতে অর্জিত মুনাফা থেকে বোনাস দিতে পারবে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এই সংক্রান্ত একটি  নির্দেশনা জারি করেছে। ব্যাংকিং খাতের সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে নির্দেশনাটি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো শুধু প্রকৃত আয়-ব্যয়ের ভিত্তিতে অর্জিত মুনাফা থেকেই বোনাস দিতে পারবে। ফলে পুঞ্জিভূত মুনাফা বা অতিরিক্ত সঞ্চিতি থেকে বোনাস দেওয়া যাবে না। ব্যাংকগুলোর মূলধন সংরক্ষণে কোনো ঘাটতি বা সঞ্চিতি ঘাটতি থাকলে, বোনাস দেওয়ার সুযোগ থাকবে না।

ব্যাংকগুলোর ব্যাংকিং সূচকের উন্নতি এবং খেলাপি ঋণ আদায়ে অগ্রগতি থাকার বিষয়টি বোনাস প্রদানের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হবে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর জন্যও আলাদা নির্দেশনা রয়েছে, যা ২০২৫ সালের রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের উৎসাহ বোনাস প্রদান নির্দেশিকা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

সরকারের ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হিসাব করতে হবে প্রভিশন (ঋণ, অগ্রিম বা বিনিয়োগের মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি) বাদ দিয়ে। অর্থাৎ, ব্যাংকগুলোর মুনাফা নির্ধারণ করতে হবে নিট মুনাফা হিসেবে, যা প্রভিশন সমন্বয় করার পর হিসাব করা হবে।

এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে উৎসাহ বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে শৃঙ্খলার অভাব ছিল। এই সমস্যা দূর করতে এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে, বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে একটি অভিন্ন উৎসাহ বোনাস নির্দেশিকা তৈরি করে। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে