বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১৬, ১০:১৪:৩৫

শরীফের হ্যাটট্রিক ম্যাচের নিষ্পত্তি আজ

শরীফের হ্যাটট্রিক ম্যাচের নিষ্পত্তি আজ

স্পোর্টস ডেস্ক:  পেসার রুবেল হোসেন ও তাপস বৈশ্যর পর  ঢাকা লীগের তৃতীয় হ্যাটট্রিকের মালিক হলেন জাতীয় দলের সাবেক পেসার মোহাম্মদ শরীফ। অবশ্য বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে শরীফের হ্যাটট্রিকটি নবম। গতকাল (বুধবার) শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে বল হাতে হ্যাটট্রিক নৈপুণ্য দেখান গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অভিজ্ঞ এই পেসার। মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে  ম্যাচটি বৃষ্টিতে বন্ধ ছিল দীর্ঘক্ষণ। ২৯.৪ ওভার খেলা হওয়ার পর বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি নির্ধারিত হয় ৩৮ ওভারে। বিরতির পর খেলা শুরু হলে ব্যাট হাতে শেখ জামাল ধানমন্ডিকে আশা দেখাচ্ছিলেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শরীফ বোলিংয়ে আসার আগে রিয়াদ ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি স্পিনার মইনুল ইসলামকে। দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে ফিরে ওই মাহমুদুল্লাহকে ফিরিয়েই শিকার শুরু করেন শরীফ। এরপর জামালের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জাবিদ হোসেন ও নাজমুল সাদাতকে পরপর ফিরিয়ে হ্যাটটিক পূর্ণ করেন তিনি। অথচ প্রথম স্পেলে এই পেসার ৫ ওভারে ৩২ রান দিয়েছিলেন উইকেটশূন্য। এটি অবশ্য প্রিমিয়ার লীগে শরীফের প্রথম হ্যাটট্রিক নয়। এর আগে ২০০৫ সালে তিনি এমন কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। অবশ্য শরীফের হ্যাটট্রিকের দিনে নিষ্পত্তি হয়নি ম্যাচটির। গড়িয়েছে রিজার্ভ ডেতে। আজ আবারও মাঠে নামবে দুই দল। গতকাল ম্যাচটি স্থগিত হওয়ার আগে আরও এক দফা খেলা বন্ধ ছিল বৃষ্টিতে। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ইনিংসের ২৯.৪ ওভার শেষে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে খেলা। পরে ম্যাচের পরিসর নেমে আসে ৩৮ ওভারে। শেখ জামাল তুলতে পারে ৯ উইকেটে ১৬৮। ডাকওয়ার্থ-লুইস আইনে ৩৮ ওভারে গাজী ক্রিকেটার্সের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯৬। জবাবে ১৬.১ ওভারে ৩ উইকেটে ৮৩ রান তোলার পর আবার নামে বৃষ্টি। নিয়ম অনুযায়ী খেলা যেখানে থেমেছে। সেখান থেকেই শুরু হবে আজ।

এর আগ টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শেখ জামালের শুরুটা ভালোই ছিল। ৬২ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর শুরু হয় শেখ জামাল ইনিংসের মড়ক। ওপেনার জয়রাজ শেখ ২৮ রান করে আউট হওয়ার পর হাল ধরতে ব্যর্থ হন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মার্শাল আইয়ুব। মাত্র ৬ রান করেই আউট হন তিনি। এরপর আরেক ওপেনার আবদুল্লাহ আল মামুন ৬৯ রানে ফিরেন সাজঘরে। কিন্তু তখনও ক্রিজে আশা দেখাচ্ছিলেন অধিনায়ক রিয়াদ। কিন্তু  শরীফের বলে ক্যাচ দেন সাঈদ আনোয়ার জুনিয়রের হাতে। পরের বলে বোল্ড আউট উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জাবিদ হোসেন। আর নাজমুস সাদাতকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন শরীফ। অবশ্য তার পরের বলেও আরও একটি উইকেট পড়ে। ওটা ছিল মুক্তার আলীর রান আউট। টানা চার বলে উইকেটের পতন। এতে মাত্র চার বলের ব্যবধানে শেখ জামালের স্কোর ১৪৯/৩ থেকে রূপ নেয় ১৪৯/৭-এ। পরে শেখ জামালের লেজের দিকের ব্যাটসম্যান শফিউল ইসলামকেও বোল্ড করেন শরীফ। ৪৩ রানে নেন ৪ উইকেট।

লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের এটি ৮ম হ্যাটট্রিক। এর চারটি হয়েছে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে। ২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন শাহাদাত হোসেন রাজীব। এরপর ২০১০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই মিরপুরে হ্যাটট্রিক করেন আবদুর রাজ্জাক। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রুবেল হোসেন। আর ২০১৪ সালে অভিষেকে হ্যাটট্রিকের প্রথম কীর্তি গড়েন তাইজুল ইসলাম জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এছাড়াও ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে রুবেল হোসেন ও তাপষ বৈশ্য একই দিনে হ্যাটট্রিক করেন। বিকেএসপিতে ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন রুবেল হোসেন। টানা তিন বলে আউট করেছিলেন সোহরাওয়ার্দী শুভ, মেহরাব হোসেন জুনিয়র ও আহসানুল হককে। এছাড়াও কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের হয়ে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে বগুড়ায় হ্যাটট্রিক করেছিলেন আরেক পেসার তাপস বৈশ্য। ইনিংসের শেষ ওভারের শেষ তিন বলে ফেরান নাঈম ইসলাম, শাহাদাত হোসেন ও রাকিবুল হাসানকে। -মানবজমিন
১৯ মে,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে