স্পোর্টস ডেস্ক: কতটা নিষ্ঠুর আর বিবেকহীন হলে একজন মানুষ ১১ বছরের ছোট্ট শিশুকে সামান্য সুজিতে হলুদের গুড়া দেয়ার অপরাধে উপর্যপুরি পেটায়? তাকে কোন মানুষই নরপশু বলে গালি দিতে দ্বিধাবোধ করবে না। আর সে যদি কোন সেলিব্রেটি হয়ে থাকে, তার পরও গালি দেয়া থেকে বিন্দু মাত্রও পিছপা হবে না কেউই।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার শাহাদাত হোসেন একজন নামজাদা খেলোয়াড় হলেও মাঠের বাহিরে যে তার এক কুৎসিত চরিত্র আছে সেটা ছোট একটি ঘটনার মধ্য দিয়ে জেনেছে বিশ্ববাসী। ১১ বছরের ছোট্ট কাজের মেয়েকে নির্যাতন করে এবং নির্যাতনের অভিযোগে ফেরারী আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন পরিবার নিয়ে।
আর অন্যদিকে, ঢাকা মেডিকেলে বসে শাহাদাতের নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন নির্যাতিতা হ্যাপি।
হ্যাপি জানায়, শাহাদাতের বাচ্চার জন্য রান্না করা সুজিতে হলুদ-মরিচ দেওয়ার অপরাধে তার পেটে লাথি মারেন শাহাদাত।
হ্যাপী জানায়, প্রায় ছোট ছোট ভুলের জন্য শাহাদাত ও তার স্ত্রী তাকে লাঠি ও হ্যাঙ্গার দিয়ে পেটাতো। পরশুদিন বাচ্চার সুজি গরম করার পর ফ্রিজে রেখে দিলে হলুদ হলুদ দেখায়। সেটা দেখে শাহাদাত ভাইয়া আমার পেটে লাত্থি দিয়ে বলে তুই সুজিতে হলুদ-মরিচ দিছিস? মারের ভয়ে আমি বলি দিছি। এরপর আমাকে আরও মারধর করে। নিত্য আপু বলতে থাকে বেত নিয়ে আসবা। বেত দিয়ে পেটাতে হবে। এরপর আমি বাসা থেকে পালাই। গত দুদিন যাবত একজন ছুটা বুয়া রেখেছে। সেই বুয়া ঘরে ঢোকার সময় দরজা খোলা পেয়ে আমি পালায়ে আসি।’
৮ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর/রাজু