স্পোর্টস ডেস্ক : শ্রদ্ধা, ভক্তি, ভালবাসা। সব মিলেমিশে একাকার। বাচ্চা থেকে বুড়ো, সবাই তাকে বসিয়েছেন ‘দেবতা’র আসনে। গ্রামের প্রতিটা বাড়ির বাইরের দেওয়ালে আঁকা তার ছবি। আর ছবির নিচে বাড়ির নম্বর। কে তিনি? শচিন টেন্ডুলকার। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে সাংসদরা একেকটি গ্রাম দত্তক নিচ্ছেন।
রাজ্যসভার সাংসদ শচীনও সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে দত্তক নিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর জেলার নেরনুর গ্রাম। গত এগারো মাস ধরে যে গ্রামে নানা উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। গোটা নেরনুর জেনে গেছে, এই উন্নয়নের পেছনে রয়েছেন কে। তাই শচিনকে নিয়ে গ্রাম জুড়ে অন্য উন্মাদনা। সম্প্রতি সেই অভিজ্ঞতাই মধ্যপ্রদেশের ভূপালে সাংসদদের মডেল গ্রাম প্রকল্প নিয়ে এক সেমিনারে তুলে ধরেছেন নেল্লোরের জয়েন্ট কালেক্টর মোহাম্মদ ইমতিয়াজ।
গোটা প্রকল্পের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৬ কোটি টাকা। নিজের সাংসদ তহবিল থেকে শচিন দিচ্ছেন ২ কোটি টাকা। বাকি ৪ কোটি আসবে সরকারের অন্যান্য স্কিম থেকে। আয়তনের দিক থেকে নেরনুর বেশ বিরাট গ্রাম। পুত্তমরাজু কান্দ্রিগা এবং গোপালপাল্লি, এই দুটি পঞ্চায়েত নিয়ে নেরনুর গ্রাম। জনসংখ্যা প্রায় ১৯০০। শচিনের ইচ্ছে, সবাই যেন বিদ্যুৎ এবং পানীয় জলের সুবিধে পায়। কিছুদিন আগে পর্যন্তও গ্রামের মেয়েদের জল আনতে যেতে হত দূরে কোথাও। এখন প্রতিটা বাড়িতেই জলের লাইনের সংযোগ ঘটেছে।
আরও একটা উল্লেখযোগ্য তথ্য উঠে এসেছে ইমতিয়াজের কথায়। কাজের খোঁজে গ্রাম ছেড়েছিলেন প্রায় ১০০ যুবক। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে তারাই আবার ফিরে এসে নিজের গ্রামেই পেয়েছে কাজের সন্ধান। গ্রামেরই ২৫ একর জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছে মৎস্যচাষ প্রকল্প। স্থানীয়দের উপার্জন বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। আর এতসব কারণেই শুধু বাড়ির দেওয়ালে নয়, শচিন রয়েছেন নেরনুরের মানুষের হৃদয়ে।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি