মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬, ১০:৩৯:৩৩

আইসল্যান্ডের দশটি তথ্য চমকে দেবে আপনাকে

আইসল্যান্ডের দশটি তথ্য চমকে দেবে আপনাকে

স্পোর্টস ডেস্ক : ফুটবল বিশ্বে এখন একটা নামই উচ্চা​রিত হচ্ছে—আইসল্যান্ড। কাল ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যাওয়া এই দলটি যে শুধু ফুটবল নয়, ক্রীড়া ইতিহাসেরই সবচেয়ে বড় অঘটনগুলোর একটির জন্ম দিয়েছে। কত বড় অঘটন? বুঝতে হলে নিচের দশ তথ্য পড়ুন:

১. ২০১২ সালের এপ্রিলেও আইসল্যান্ডের ফিফা র‍্যাঙ্কিং ছিল ১৩১ নম্বরে। গত চার বছরে ৯৭ ধাপ উন্নতি হয়েছে দলটির। এখন তাদের অবস্থান ৩৪-এ। বাছাইপর্বে হল্যান্ডের মতো দলকে ছিটকে দিয়ে তারা এসেছে চূড়ান্ত পর্বে। প্রথমবারের মতো প্রথম ফুটবলের বড় কোনো টুর্নামেন্টে খেলার এটাই প্রথম অভিজ্ঞতা তাদের।

২. ৩ লাখ ৩০ হাজার জনসংখ্যার দেশ আইসল্যান্ডে নিবন্ধিত খেলোয়াড় সংখ্যা ২১ হাজার ৫০০। অথচ আয়তনে বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা মেহেরপুরের জনসংখ্যাই ৬ লাখের ওপর (২০১১ আদমশুমারি অনুযায়ী)!

৩. আইসল্যান্ডে মোট ১১টি কেন্দ্রে ফুটবল খেলা হয়। বরফ-ঢাকা দেশটিতে এই ১১ স্থানে রয়েছে বিশেষ বাতানুকূল পরিবেশ। শীতকাল নয় মাসের হওয়ায় খোলা মাঠে ফুটবল খেলা সম্ভব হয় না। বরফে ঢাকা থাকে। এই সময়টায় তারা ছাদঘেরা ১১টি কেন্দ্রে ফুটবল খেলে।

৪. আইসল্যান্ডের কোচ হেইমার হালগ্রিমসন দলটির দায়িত্ব নিয়েছেন ২০১৩ সালে। তিনি তখন কাজ করতেন ডেন্টিস্ট বা দন্তবিশেষজ্ঞ হিসেবে। ফুটবল কোচের চাকরি করে পেট চালাবেন কী করে? এখন তো মনে হচ্ছে পূর্ণকালীন কোচ হিসেবেই ক্যারিয়ার শুরু করবেন। দলটিতে অবশ্য যৌথ কোচ হিসেবে আছেন সুইডেনের লার্স লাজারবাক।

৫. যদি জানতে চান আইসল্যান্ডের সাফল্যের রহস্য কী? হালগ্রিমসন সব কৃতিত্ব দিলেন দেশের কোচদের, ‘ভালো খেলোয়াড় ছাড়া আপনি সাফল্য পাবেন না। গত ১০-১৫ বছরে আমাদের দলটা গড়ে তুলেছে আইসল্যান্ডের কোচরাই। তাদের ৭০ শতাংশের আছে উয়েফা-বি লাইসেন্স, ২৩ শতাংশের ‘এ’ লাইসেন্স। তারাই খেলোয়াড়দের তৈরি করেছে।’

৬. দৈত্যবধ করে তারা চাকরি খেয়েছে বিশ্বের দুই বিখ্যাত কোচের! আইসল্যান্ডের কাছে হারের পর পদত্যাগ করেন হল্যান্ড কোচ গাস হিডিঙ্ক আর সর্বশেষ দায়িত্ব ছেড়েছেন ইংলিশ কোচ রয় হজসন।

৭. আমস্টারডামে হল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের সাক্ষী ছিল তিন হাজার আইসল্যান্ড দর্শক। এবার ইউরো দেখতে ফ্রান্সে গেছে ৩০ হাজার দর্শক। হাঙ্গেরির বিপক্ষে ম্যাচটি টিভিতে দেখেছে দেশের ৯৮.৬ শতাংশ আইসল্যান্ড দর্শক। আইসল্যান্ডের জাতীয় স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ১৫ হাজার।

৮. আইসল্যান্ডের ১৬ জন খেলোয়াড় খেলেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। মিডফিল্ডার সিগুরসন খেলেন সোয়ানসিটিতে। আইসল্যান্ডের উত্থানে নাকি ইংলিশ ফুটবলের বিরাট অবদান, বললেন সাবেক খেলোয়াড় হারমান হেরিডারসন, ‘ইংলিশ ফুটবলকে ভালোবাসাটাই শক্তিশালী করেছে আইসল্যান্ডকে।’ কী আশ্চর্য, সেই ইংল্যান্ডকে হারিয়েই ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে আইসল্যান্ড।

৯. দলের গোলরক্ষক হানেস হালডরসন একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা। ফুটবল ছাড়ার পর আইসল্যান্ডের ফিল্ম স্টুডিও ‘সাগাফিল্মে’ কাজ করার ইচ্ছে আছে ৩২ বছর বয়সী গোলরক্ষকের।

১০. আইসল্যান্ড দলের সবার নামের পাশে সন কিংবা সেন কেন? আইসল্যান্ডে কোনো পারিবারিক নাম কিংবা পদবি নেই। তারা সাধারণত ঐতিহ্যবাহী নর্ডিক নামকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করে। ছেলে কিংবা মেয়ের প্রথম নামের সঙ্গে শেষ অংশটি যুক্ত হয় মা অথবা বাবার প্রথম নাম থেকে।-প্রথম আলো
২৮ জুন ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে