স্পোর্টস ডেস্ক: ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসীদের সবচেয়ে বড় দুই ধর্মীয় উৎসব হলো ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা। পৃথিবীর অনেক ধর্ম আর জাতির মতো মুসলমানদের কাছেও পশু কোরবানী হচ্ছে একটি ধর্মীয় পবিত্র রীতি, যা প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে বিশ্বসমাজে।
বাংলাদেশ জাতীয় টেস্ট দলের দলনেতা মুশফিকুর রহিম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড দেয়া পবিত্র উৎসব ঈদুল আযহার দিনে পশু কোরবানীর একটি ছবি নিয়ে ইতেমধ্যে শুরু হয়েছে হৈ চৈ। হৈ চৈ এর উৎপত্তি হয় যখনই তিনি তার ফ্যান পেইজে ওই ছবিটি আপলোড দেয়ার পরক্ষণে সরিয়ে নেন তখনই।
ছবি সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে মুশফিকুর রহিম তার পরবর্তী পোস্টে জানান, প্রিয় বন্ধুগণ, কাল থেকে অনেকেই বিভিন্ন বার্তা পাঠাচ্ছেন এই বলে যে, কেন নির্দিষ্ট একটি ছবি নামিয়ে নিয়েছি। সবার অবগতির জন্য জানাতে চাই, সেই নির্দিষ্ট পোস্ট/ ছবিটি কোন মানুষ, ধর্ম, গোত্র বা জাতিকে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করতে পোস্ট করা হয়নি। যেহেতু ভক্তদের মাঝে অনেকেই অনেক দেশ, ধর্ম ও জাতির অন্তর্ভুক্ত তাই সবার কথা বিবেচনায় এনে ছবিটি সরিয়ে দেয়া হয়েছে। আশা করছি, সব ধরনের ভুল বোঝাবোঝির অবসান হবে এবং এখানেই এ বিষয়ের আলোচনার সমাপ্তি ঘটবে।
সবাইকে আবারও ঈদ মোবারক। সৃষ্টিকর্তা আমাদের ত্যাগ কবুল করুন। ভালোবাসা ছড়িয়ে পরুক চারদিক।’
কিন্তু তার পরও তার এই কর্মকান্ডে ভীষণ ক্ষিপ্ততা লক্ষ্য করা গেছে উক্ত পোস্টের কমেন্টে। ওমর ফারুক নামে তার এক ভক্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন মুশফিকুর রহিম কোটি কোটি মুসলমানের মনে আঘাত দিয়েছেন.... . প্রথমেই বলি,বাংলাদেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম। ৯০% এর বেশি মানুষ মুসলিম। কাজেই, ৯০% মুসলিমের দেশে গরু কুরবানী করে রক্তাক্ত গরুর পিক পোষ্ট করা স্বাভাবিক।. . কিন্তু, তিনি যে কাজটা করেছেন তা অমুসলিমেরর কথা শুনেই করেছেন।. . রক্তাক্ত পিক দিয়ে যদি তিনি সংখ্যালঘুদের মনে আঘাত করে থাকেন........তবে তিনি এখন কোটি কোটি মুসলিমের মনে আঘাত করেছেন..... ।’
তবে তার এই পোস্টে রিমুভের ব্যপারটি নিয়ে সুন্দর যুক্তি উপস্থাপন করেছেন রেজাউল ইসলাম নামে আরেক ফলোয়ার। তিনি বলেছেন, স্টুপিড অর হোয়াট! ? মুশফিকের ব্যাখ্যা তো পরিস্কার! রক্ত এবং ছোটো বাচ্চা সংক্রান্ত ব্যাপারের জন্য ই সরিয়েছে সে! যে ব্যাক্তি মুসলিমদের অনুপ্রানিত করতে এবং নিজ ধর্মীয় কাজ স্বয়ং হাতে করলো তখন বাহবা আর বাচ্চারা ভয় পেতে পারে বলে ফটো রিমুভ করলো তখন তার জাত ঠিক নাই! ? ইসলামে কিন্তু বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করা হয়েছে!এখানে এমন কিছু পাব্লিক দেখা যাচ্ছে যে তারা মসজিদে গিয়ে ৫ ওয়াক্ত নামায ঠিকমতো আদায় করে কিনা সন্দেহ বাট চুলকানির বেলায় মাল কোচা দিয়ে নেমেছে ইসলামের নামে! ইসলাম নামের অর্থ জানোতো স্টুপিড গুলা? ইসলাম মানে শান্তি আর তোমরা নামধারি কিছু মুসলিম শুরু করেছো অশান্তি তো ফল কি হচ্ছে? U guys = বেধর্মি ।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫,এমটি নিউজ২৪/আরিফুর/রাজু