আবু মুসা হাসান : সাসেক্সের হয়ে দুইটি টি-২০ ম্যাচ খেলার পর ইনজুরির কারণে আর কোনো ম্যাচেই অংশগ্রহণ করতে পারছেন না কাটার মাস্টার খ্যাত মোস্তাফিজুর রহমান। তবে যারা এই দফা মোস্তাফিজের জাদু দেখা থেকে বঞ্চিত হলেন, তাদের বেশি দিন হতাশ থাকতে হবে না, আগামী বছরের জুন মাসেই ইংল্যান্ডে বাংলাদেশ জাতীয় দল আইসিসি আয়োজিত চ্যাম্পয়নশিপ ট্রফিতে অংশ নেবে। আর সেখানেই আবার মোস্তাফিজের বোলিং জাদু দেখতে পারবেন ইংল্যান্ডবাসী।
গত বছর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে, অর্থাৎ একের পর এক জিম্বাবুয়ে, পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বাংলাদেশ আইসিসির ওডিআই র্যাঙ্কিং এর নয় থেকে সাতে উঠে চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। আইসিসি ওডিআই র্যাংঙ্কিং এর প্রথম আটিটি দল চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফিতে অংশ নেবে। মোস্তাফিজের আবির্ভাবের ফলেই বাংলাদেশ গত বছর এই সাফল্য অর্জন করেছিল। পাকিস্তানকে ধবল ধোলাই করেছিল বাংলাদেশ। আর সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। ভারতকেও একই ব্যবধানে হারিয়েছিল সাকিব-মুশফিকরা।
তাই মোস্তাফিজ এই দফা আর খেলতে পারছেন না বলে আমি মোটেও হতাশ হইনি। আমিও চাই না মোস্তাফিজ বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নিয়ে সাসেক্স ক্লাবের জন্য খেলুক। বরং আমি চাই, বিসিবির সরাসরি তত্বাবধানে পূর্নাঙ্গ চিকিৎসা শেষে বাংলাদেশের এই অমূল্য সম্পদ নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশে বিদেশে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অবদান রাখুক।
আগামী বছরের ১ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত আইসিসি চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফিতে এবং আগামী ২০১৯ সালের ৩০ মে থেকে ১৫ জুলাই ইংল্যান্ডে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে মোস্তাফিজ জাদুর বলে বাংলাদেশ দুটি টুর্নামেন্টেই সম্মানজনক অবস্থানে থাকবে বলে আশা করতে পারি। শুধু তাই নয়, ক্রিকেট বিশ্বকে চমক লাগানো ২০ বছরের এই বিস্ময় বালক মোস্তাফিজ আরও অন্তত ১০ বছর বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অবদান রেখে বিশ্ব ক্রিকেটে আমাদের মুখ উজ্জ্বল রাখতে পারবে বলে আশা করছি।-বিডিনিউজ
২৯ জুলাই ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/এমকেএইচ