স্পোর্টস ডেস্ক: ভারত সফরের আগে জয়ের সংস্কৃতি ধরে রাখার কথাই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ এ দলের কোচ হিথ স্ট্রিক। কিন্তু ভারতের মাটিতে গিয়ে টাইগাররা যে উল্টো পাল্টা পারফরম্যান্স করছে তা নিয়ে সষ্টন্ত না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি।
বেঙ্গালুরুতে একটি একদিনের ম্যাচ বাদে সফরজুড়ে বাংলাদেশ এ দল পুরোপুরিই ব্যর্থ। সফরে ভারতের কাছে তিনটি একদিনের ও দুটি তিন দিনের ম্যাচ—মোট পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। ভারতীয় ক্রিকেটারদের কাছে মুমিনুলদের এমন লজ্জাজনক রেকর্ড অপ্রত্যাশিতই বলতে হবে। কারণ দলের বেশির ভাগ সদস্যই সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলে পারফর্ম করছেন ধারাবাহিকভাবে। অথচ ভারত সফরে অধিকাংশই ছিলেন নিষ্প্রভ।
এক দিনের ম্যাচের সিরিজে নাসির ও লিটন দাস বাদে কোনো ব্যাটসম্যানই রান পাননি উল্লেখ্য করার মতো। তবে টপ অর্ডারের ব্যর্থতার প্রভাব পড়েছে সিরিজের ফলেও। তিন ম্যাচে ওপেনার সৌম্য সরকারের রান ৯, ২৪ ও ১, রনি তালুকদার ১৩, ০ ও ৯, এনামুল হক ০, ৩৪ ও ১। প্রথম দুই ম্যাচে ৩ উইকেট পড়েছে ৩৪ ও ৬৬ রানে। আর শেষ ম্যাচে ২৪ রানের মধ্যেই সাজঘর ধরেছেন তিনজন! সাদা বলে মুমিনুল এ দফাও ব্যর্থ। তিন ম্যাচে রান ৩৭, ৩ ও ১৯।
একদিনের সিরিজে ব্যতিক্রম কেবল নাসির ও লিটন দাস। তিন ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে নাসির করেছেন সিরিজ সর্বোচ্চ ১৭৬ রান। ব্যাঙ্গালুরুর চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচটি তো এ দল জিতেছিল নাসিরের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে। বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪১ রান করেছেন লিটন। সিরিজে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬৭ রান এসেছে সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে।
একদিনের সিরিজে মূল বোলাররাও যে খুব একটা সফল ছিলেন, বলা যায় না। তিন ম্যাচে ভারত এ দলের মোট ২২ উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশ এ দল। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে সফল নাসির। নিয়েছেন সিরিজ সর্বোচ্চ ৮ উইকেট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ উইকেট রুবেল হোসেনের। ব্যবহৃত বাকি সাত বোলার মিলে নিয়েছেন অবশিষ্ট ৯ উইকেট।
২৯ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস