নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ইসলামের প্রথম জানাজা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সম্পন্ন হয়েছে। এরপর হেলিকপ্টারে করে কিশোরগঞ্জে নেয়া হয় তার মরদেহ। সেখানকার শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা এবং সবশেষ ময়মনসিংহ আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে তার মরদেহ হেলিকপ্টারে করে ফের ঢাকায় আনা হবে। বাদ আসর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
সেই লক্ষ্যে বনানী কবর স্থানের দ্বিতীয় গেট সংলগ্ন স্থানে চলছে কবর খোঁড়ার কাজ। কবরকে ঘিরে শ্রদ্ধা আর হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা নিয়ে উৎসুক জনতা ভিড় করে আছেন চারিদিকে। এরমধ্যেই আব্দুল মোতালেবসহ বেশ কয়েকজন গোরখোদক মিলে কবর খোঁড়ার কাজ করছেন। আশপাশে শ্রদ্ধা জানিয়ে ব্যানার টাঙিয়ে রাখা আছে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার পক্ষে।
বনানী কবরস্থানের গোরখোদক মোতালেব জানান, সকাল থেকেই তারা কাজ করছেন। ইতোমধ্যে কবর খোঁড়ার কাজ শেষ হয়েছে।
দেখা গেছে বাঁশসহ আনুসঙ্গিক জিনিস এনে জমা করা হয়েছে সদ্য খোঁড়া ওই কবরের পাশে। এখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন জনননেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের সন্তান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাবার দেখানো পথেই হেঁটেছেন রাজনীতির দীর্ঘসময়। অথচ এত সমৃদ্ধময় জীবনগল্পে আত্মঅহমিকার লেশমাত্র ছিল না তার। বিনয়ী, মৃদুভাষী আর বিচক্ষণতার মধ্য দিয়েই তিনি সবার কাছে ‘আশরাফ ভাই’ বলে পরিচিতি পান এই জননেতা। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আজ (রোববার) বাদ আসর বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন তিনি। তাকে হারিয়ে কাঁদছে মানুষ, কাঁদছে রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। কয়েক মাস ধরে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। শনিবার (৫ জানুয়ারি) তার মরদেহ দেশে নিয়ে আসা হয়। আজ রোববার (৬ জানুয়ারি) ঢাকায় বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।