কিশোরগঞ্জ থেকে : কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার পাওয়া গেছে ১ কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা। যা এর আগের তুলনায় ৩৬ লাখ ১০ হাজার ১৪৮ টাকা বেশি। তিন মাস ১০ দিন পর আজ শনিবার দানবাক্স খোলা হয়।
সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দানবাক্স খোলা হয়। সকালে আটটি সিন্দুকের টাকা প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এরপর ফ্লোরে ঢেলে শুরু হয় গণনার কাজ। বিকালে গণনা শেষে দানের এ টাকার হিসাব পাওয়া যায়। এছাড়াও দানবাক্সে পাওয়া গেছে সোনা ও রূপার অলঙ্কার এবং বৈদেশিক মুদ্রা।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মীর মোহাম্মদ আল কামাহ তমাল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান, উবায়দুর রহমান সোহেল, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভূইয়া, রূপালী ব্যাংকের এজিএম অনুপ কুমার ভদ্র টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মোস্তফা জানান, দেশি নগদ টাকা ছাড়াও পাওয়া গেছে বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, স্বর্ণ ও রূপার অলঙ্কার। এছাড়াও দানে পাওয়া ছাগল, হাস-মুরগি প্রতি সপ্তাহেই নির্ধারিত দিনে নিলামে বিক্রি করা হয়। এর আগে গত ১৩ জুলাই পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে গণনা করে ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫০ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।