এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : সূর্যের কিরণ চোখে পড়ার আগেই মাছবোঝাই নৌকা নিয়ে নদীর তীরে ভেড়েন জেলেরা। শুরু হয় হাঁকডাক। ক্রেতা-বিক্রেতার আনাগোনায় জমে ওঠে নদীর পাড়ের এ মাছ বাজার। মাত্র চার ঘণ্টায় প্রতিদিন প্রায় তিন কোটি টাকার মাছ কেনাবেচা হয় এ বাজারে।
ধনু নদীর পাড়ে বালিখোলা মিঠাপানির মাছ বাজারটি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে। এ বাজারে আসেন কিশোরগঞ্জের নদ-নদীসহ হাওর ও পার্শ্ববর্তী জেলা নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জের হাওরের মাছ বিক্রেতারা। পাইকারি এ মাছের বাজারে মেলে রুই, কাতল, বোয়াল, আইড়, চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা।
তরতাজা মাছ পেতে ভোর হলেই বালিখোলা বাজারে ভিড় জমান পাইকাররা। প্রতিযোগিতামূলক দরদামেই মাছ কেনেন তারা। এখানকার মাছ ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, নদ-নদীর পানি কম থাকায় মাছের সরবরাহ বেড়েছে। কমেছে মাছের দামও। বাজারে বোয়াল ৩০০ থেকে ৭০০, রুই ৫৫০, কাতল ৫০০, চিংড়ি ৭০০ ও ছোট মাছ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বালিখোলা বাজারের সভাপতি মো. সিদ্দিক মিয়া বলেন, দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ বাজারের ৫০টি আড়তে প্রতিদিন প্রায় তিন কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হয়। এ বাজার থেকে মাছ কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রিপন কুমার পাল বলেন, কিশোরগঞ্জের হাওরের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে বালিখোলা বাজারে মাছ আসে। তরতাজা মিঠাপানির মাছের কদর সবসময়ই বেশি। মাছ ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা করছে মৎস্য বিভাগ।