কুমিল্লা : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) দগ্ধ ছাত্রী ফাহমিদা হাসান নিশাসহ ৬ জনের নামে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে তিন জনের নাম উল্লেখ রয়েছে এবং বাকি তিন জন অজ্ঞাতনামা।
বুধবার সন্ধ্যায় সদর দক্ষিণ মডেল থানার এসআই শহিদুল বাশার বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলাটি করেন।
এদিকে, মামলার পরই মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনা ছয় ছাত্রীর মধ্যে মামলায় অভিযুক্ত মর্জিনা ও নুরুন নাহারকে গ্রেফতার দেখিয়ে অপর চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দগ্ধ নিশা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সালমানপুর এলাকার মনিরুল ইসলাম মৃধার মালিকানাধীন ‘প্রশান্তি’ ভবনের ‘হেভেন ছাত্রীনিবাসে’ মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৬টার দিকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই ছাত্রী নিবাসের নিচতলার একটি কক্ষের দরজা-জানালাসহ আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে ওই কক্ষে থাকা ছাত্রী ফাহমিদা হাসান নিশার শ্বাসনালীসহ তার শরীরের ৪৫ ভাগ পুড়ে যায়।
বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের মামলায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৯ম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার আকছিনা গ্রামের আবুল হাসানের মেয়ে বিস্ফোরণে দগ্ধ ফাহমিদা হাসান নিশা, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ৮ম ব্যাচের ছাত্রী কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার পেরুল গ্রামের আলী মিয়ার মেয়ে মর্জিনা বেগম এবং আইসিটি বিভাগের ৮ম ব্যাচের ছাত্রী ঢাকার রায়েরবাগের নুর মোহাম্মদের মেয়ে নুরুন নাহারসহ অজ্ঞাতনামা আরও তিন ছাত্রীকে আসামি করা হয়েছে।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রীনিবাসের দুটি কক্ষ থেকে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার লিফলেট, জামায়াত-শিবির ও মওদুদীর লেখা বিভিন্ন বই উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বিস্ফোরণে দগ্ধ ছাত্রী ফাহমিদা হাসান নিশা ও তার বান্ধবী মর্জিনা বেগম ইসলামী ছাত্রী সংস্থার সদস্য। বিস্ফোরণের সঙ্গে ছাত্রীদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ক্রাইমসিন টিমের রিপোর্ট পাওয়ার পরই বিষ্ফোরণের কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
২৫ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম