কুমিল্লা : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মোবাইল ফোনে প্রবাসী যুবকের সাথে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে ৩ লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও একটি মোবাইল সেট নিয়ে ফের সেই মেয়েকে অন্য ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ধরনের কাণ্ড করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন মেয়ের বাবা।
টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ফিরে পেতে প্রবাসীর ভাই মেয়ের পিতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের আতাকরা গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী বেলাল হোসেনের সাথে চলতি বছরের ৮ এপ্রিল গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে মোবাইল ফোনে বিয়ে হয় মাদ্রাসাছাত্রী সুমাইয়া আক্তারের (১৮)।
তিনি পার্শ্ববর্তী চিওড়া ইউনিয়নের ধোড়করা গ্রামের আবু তাহের ভূঁইয়ার বড় মেয়ে। ওই সময় সিদ্ধান্ত হয়- প্রবাসী বেলাল দেশে ফিরলে সামাজিকভাবে সুমাইয়াকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসবে।
বিয়ের সময় সুমাইয়াকে ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, বিভিন্ন সময়ে তিন লাখ টাকা ও একটি মোবাইল সেট দেয়া হয়। কিন্তু বেলাল দেশে আসার আগেই সুমাইয়ার বাবা আবু তাহের ভূঁইয়া লাভজনক প্রস্তাবে মেয়েকে পার্শ্ববর্তী সাঙ্গিশ্বর গ্রামের প্রবাসী বদিউর আলমের ছেলে ও সুমাইয়ার সহপাঠি মেহেরাজের সাথে বিয়ে দিয়ে দেন।
এমন খবর পেয়ে বেলালের ভাই নজির আহমদ তাহেরের কাছে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা ফেরত চাইলে তিনি তা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। এতে নজির আহমদের পরিবার সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নজির আহমদ বাদী হয়ে সুমাইয়ার বাবা আবু তাহের ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে কনকাপৈত পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে আবু তাহের ভূঁইয়া মেয়েকে অন্যত্র বিয়ের দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, পারিবারিকভাবে আগে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। কিন্তু মেহেরাজ জোরপূর্বক সুমাইয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগও দিয়েছি।
স্থানীয়রা জানান, প্রবাসী স্বামীর দেয়া মোবাইল দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সুমাইয়া সহপাঠি মেহেরাজের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। মেহেরাজের সাথে সুমাইয়া পালিয়ে যায় বলে জানান তারা।২৯ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম