কুমিল্লা : হতদরিদ্রেদের জন্য সরকারের বরাদ্দ করা ১০ টাকা কেজির চাল ১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে! কুমিল্লার তিতাসে এই ঘটনায় ডিলারসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগতর রাতে বাতাকান্দি জাহাঙ্গীর চাউলের আড়ৎ থেকে (৫০কেজি ওজনের) ১০৩ বস্তা চাউল উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। আজ শুক্রবার তিতাস উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ডিলারসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত করা হলো তিতাস উপজেলার বাতাকান্দি বাজারের মেসার্স জাহাঙ্গীর চাউল আড়ৎদারের মালিক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সরকার ও এর পার্টনার জাকির হোসেন। সাতানি ইউনিয়নের হত দরিদ্রের জন্য চাউলের বিক্রয়ের ডিলার মোঃ নবীর হোসেন পালিয়ে যায়।
তিতাস থানা সূত্রে জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পায়, সরকারী ভাবে বরাদ্দ করা হত দরিদ্রের জন্য বরাদ্দ ১০টাকা কেজি চাউল বিক্রয় প্রতিনিধি সাতানী ইউনিয়নের ডিলার নবীর হোসেন চাউল গরীবদেরকে না দিয়ে কালো বাজারে বিক্রয় করছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে ডিলার নবীর হোসেনের গোডাউনে তল্লাশি চালায়। নবীর হোসেন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালিয়ে যায়। পরে মেসার্স জাহাঙ্গীর চাউল আড়ৎদারের তল্লাশি কালে ১০৩ বস্তা চাউল হাতে নাতে ধরে ফেলে। ওই তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে দোকানে মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন সরকার ও জাকির হোসেকে আটক করে। নবীর হোসেনের নামে বরাদ্দ করা ১২০ বস্তা চাউলের মধ্যে ১০৩ বস্তা চাউলসহ তাদেরকে থানায় উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
তিতাস থানার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মোঃ শহীদুল হক জানান, কালো বাজারী ভাবে ক্রয় করা জাহাঙ্গীর হোসেন পুলিশের নিকট স্বীকার করেছে যে সরকারী ভাবে বরাদ্দ করা ১০টাকা কেজি চাউল ডিলারের নিকট থেকে ১৮টাকা কেজি ধরে ক্রয় করেছে। তারা কিছু চাউল ২৫টাকা কেজি ধরে বিক্রি করেছেন।
তিতাস উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত মোঃ তৌহিদুল ইসলাম জানান, হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ করা ১০টাকা কেজির চাউল কালো বাজারে বিক্রয় দায়ে সাতানী ইউনিয়নের ডিলার ও ক্রয়কারীসহ ৩জনের বিরুদ্ধে আমি বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছি। ডিলার নবীর হোসেন ধরার জন্য পুলিশি অভিযান চলছে।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস