কুমিল্লা : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের আট মাস পূর্ণ হচ্ছে রবিবার। এ দীর্ঘ সময়ে থানা ও ডিবি’র পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি মামলার তদন্তকাজ পরিচালনা করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন, ঘাতকদের শনাক্ত করা কিংবা মামলার তদন্তে দৃশ্যমান কোনও অগ্রগতি নেই। দফায় দফায় তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হলেও ফলাফল কার্যত শূন্য।
কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরের একটি জঙ্গল থেকে গত ২০ মার্চ রাতে কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন তনুর বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি পুলিশ ও জেলা ডিবি’র পর গত ১ এপ্রিল থেকে তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি-কুমিল্লা।
সিআইডি তনুর জামা-কাপড় থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে ৩ জনের শুক্রানু পাওয়ার কথাও গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। তারা নিশ্চিত হয়েছিল ‘হত্যার আগে তনুকে ধর্ষণ করা হয়েছিল এবং প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনটি সঠিক ছিল না’।
আদালতের আদেশে সিআইডি ডিএনএ প্রতিবেদনটি দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী মেডিক্যাল বোর্ডকে সরবরাহ করলেও ৩ সদস্যের ওই মেডিক্যাল বোর্ড তনুর মৃত্যুর সঠিক কারণ স্পষ্ট করতে পারেনি। এদিকে এ মামলার দুইজন তদারক কর্মকর্তা সিআইডি-কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান ও শাহরিয়ার রহমানের বদলির পর বর্তমানে মামলাটির তদন্ত তদারক করছেন সিআইডি-কুমিল্লার পুলিশ সুপার ব্যারিস্টার মোশাররফ হোছাইন।
এদিকে তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, দীর্ঘ আট মাস পার হয়ে গেল, অথচ খুনিদের কেউ এখন পর্যন্ত ধরা পড়ল না। এ পর্যন্ত ঘাতকদের ডিএনএ মেলানোর কাজটিও শুরু করতে পারেনি। আমরা চাই তনুর প্রকৃত ঘাতকরা ধরা পড়ুক, শাস্তি পাক।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি-কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, মামলাটির তদন্ত নিজস্ব গতিতে চলছে। তদন্তাধীন বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। -বাংলা ট্রিবিউন।
২০ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস