কুমিল্লা থেকে: কুমিল্লার কোটবাড়ির গন্ধমতি এলাকার জঙ্গি আস্তানায় শুরু হয়েছে 'অপারেশন স্ট্রাইক আউট'।
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে সোয়াত ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা কোটবাড়ীর দক্ষিণ বাগমারার ওই এলাকায় পৌঁছায়। এরপর বেলা ১১টার দিকে সোয়াত অভিযান শুরু করে। এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ পাওয়া যায়।
জঙ্গিদের অচেতন করতে সোয়াত সদস্যরা বাড়িটির জানালা দিয়ে ভেতরে গ্যাস আর পানি দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় এক পুলিশ সদস্যকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই এলাকা থেকে বের করে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
পরে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ওই বাড়ি থেকে আনুমানিক ২৬/২৭ বছরের এক যুবককে বের করে আনা হয়। তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, জঙ্গি আস্তানায় জানালা দিয়ে গ্যাস দেয়ার সময় সৈকত নামে এক পুলিশ সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।
এদিকে, অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থলের পাশের প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। স্থানীয়দের বাড়িটি সংলগ্ন সড়কে প্রবেশেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে আসা সোয়াতের একটি টিম ছাড়াও র্যাব, পুলিশ, ক্রাইম সিন ইউনিট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এই অভিযানে অংশ নিয়েছে।
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পুরো অভিযানের দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন। এক জঙ্গির দেয়া তথ্যে, বুধবার বিকালে জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার কোটবাড়ি এলাকার গন্ধমতি গ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন ড্রাইভারের নির্মাণাধীন তৃতীয় তলা বাড়িটি ঘেরাও করে রাখে আইনশৃংখলা বাহিনী।
তবে বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচন থাকায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ভোটকেন্দ্র সংলগ্ন ওই বাড়িতে অভিযান স্থগিত রাখা হয়। স্থানীয়রা জানান, তিনতলা বাড়িটির উপরতলা নির্মাণাধীন। দুই ইউনিটের ওই বাড়ির নীচতলা ও দোতলা ম্যাচ হিসেবে ৩ মাস আগে ভাড়া দেয়া হয়।
৩১ মার্চ ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস