প্রেমের টানে ওমান থেকে কুমিল্লায় তরুণী
কুমিল্লা প্রতিনিধি : প্রেম মানে না জাত-কুল, মানে না ধর্ম-কর্ম। ভয় হয় না সাতসমুদ্র তের নদী পার হতে। এমনই ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকলেন এক তরুণী। ওমান থেকে ওই তরুণী পাড়ি দিয়েছেন বাংলাদেশ।
এরপর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথদিঘী গ্রাম। অভিযোগ করতে হয়েছে থানায়। ফিরে পেয়েছেন স্ত্রীর স্বীকৃতি। সোমবার গভীর রাতে বিয়েও হয়েছে তাদের। এখন তিনি সুখেই আছেন স্বামীর সংসারে। একজন রিনার প্রেমকাহিনীর অজানা গল্প।
জানা গেছে, বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাটা গ্রামের কৃষ্ণকান্ত তালুকদারের মেয়ে রিনা রাণী তালুকদার দীঘদিন ধরে ওমানে ফার্নিচার ফ্যাক্টরিতে কর্মরত ছিলেন। সেখানেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথদিঘী ইউনিয়নের উত্তর বেতিয়ারা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে মাঈন উদ্দিনের।
পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ধর্মীয় অনুভূতি। রিনা রাণী প্রেমের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সনাতন হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ওমানে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। এরই মধ্যে নামও পরিবর্তন করেন তিনি। রিনা রাণীর পরিবর্তে রাখা হয় ফাতেমা আক্তার।
মাঈন উদ্দিন ও ফাতেমা আক্তার উভয়ের সম্মতিতে কর্মস্থলে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেই চলছিল। কিন্তু গত তিন মাস আগে ছুটি নিয়ে মাঈন উদ্দিন বাংলাদেশে আসেন। বাবা-মায়ের অনুরোধে ফাতেমাকে বিয়ে করার বিষয়টি গোপন রেখে আবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।
আগামী ২৩ নভেম্বর সোমবার পাশের গ্রামে তার বিয়েও ঠিক হয়। কিন্তু এক বন্ধুর মাধ্যমে মোবাইলে এ খবর চলে যায় রিনার (ফাতেমা) কাছে। বিয়ের বিষয়টি ফাতেমা আক্তার কৌশলে জেনে গত ১৩ নভেম্বর শুক্রবার বাংলাদেশে এসে স্বামীর স্বীকৃতির জন্য চৌদ্দগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে মাঈন উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের মাঝে জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার উদ্যোগ নেয়া হয়।
সোমবার গভীর রাতে উপজেলার বেতিয়ারা গ্রামে ৩ লাাখ ৫০ হাজার টাকার দেনমোহরে পুনরায় ফাতেমা ও মাঈন উদ্দিনের বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়। কাবিন রেজিস্ট্রি করেন কাজী ওবায়দুল হক।
বিয়ের খবরটি জানাজানি হলে মঙ্গলবার দিনভর ওই নব দম্পতিকে দেখতে উৎসুক লোকজনের ভিড় জমে বাড়িতে।
১৮ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর
�