কুমিল্লা: এইমাত্র পাওয়া খবরে জানা যায়, বিএনপি’র দু’গ্রুপের ককটেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলিতে কুমিল্লা কান্দিরপাড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এলাকায় আতঙ্কে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশ ২১ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
আজ রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুমিল্লা বিএনপি কার্যলয়ের সামনে সাক্কু-ইয়াছিন গ্রুপ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় এসব ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবগঠিত ছাত্রদলের কমিটিতে স্বাগম জানাতে বিএনপি’র কার্যালয়ে জড়ো হয় ইয়াছিন গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এ সময় সাক্কু গ্রুপের নেতাকমীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে অনবরত ককটেল ও গোলাগুলি শুরু হয়।
জেলা দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন কায়সার জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নেত্রীর কারামুক্তির দাবিতে বিনেপি, যুবদল ও ছাত্রদল মিছিল বের করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আসলে তারা (কুসিক মেয়র গ্রুপ) গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিষ্ফেরণ করে। দলের নেত্রী, দেশতামা যখন কারাগারে তখন আমাদের সবাইকে একত্র থাকা উচিত ছিলো।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি একত্রে পালন করা উচিত ছিলো। কিন্তু তারা একটা না করে প্রশাসনের সহযোগিতায় ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদেও উপর হামলা করেছে। তার বিএনপি’র কেউ না, বিএনপি’র লোক হতে পারে না। দলের ক্রান্তিলগ্নে যারা হামলা করতে পারে তারা আওয়ামী লীগের অংশ। তারা কোন বিএনপি’র কোন অংশ নয়।
কুমিল্লা মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু জানান, পদবঞ্ছিতরা মনের ক্ষোভে গতকাল শনিবার বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে তালা দিয়েছিল। আজ ছাত্রদরের ব্যানারে অযোগ্য নেত্রীবৃন্দরা মিছিল বের করে তালা ভাঙতে আসে। তখন তাদের প্রতিরোধ করা হয়েছে। অযোগ্য নেতৃবৃন্দুকে কোন কর্মসূচি পালন করতে দেয়া হবে না। হামলাকারিরা বিএনপি’র নেতাকর্মী হতে পারে না।
বিষয়টি নিশ্চত কওে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডবি) পরিদর্শক (তদন্ত) ফিরোজ হোসেন জানান, ছাত্রদলের কমিটির নিয়ে দুই পক্ষের অসন্তোসকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।